কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: যুব সমাজের বেকারত্ব নিয়ে মোদি সরকারকে (Modi Government) খোঁচা দিলেন পিলভিটের বিজেপি (BJP) সাংসদ বরুণ গান্ধী (Varun Gandhi)। ‘দেশে সরকারি চাকরি নেই। অল্প সংখ্যক চাকরির জন্য তরুণদের কাছ থেকে দরখাস্ত নেওয়া হয়। পরীক্ষা হলে তার ফল বের হয় না।’ বৃহস্পতিবার এমনটাই লিখে দেশের পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে কড়া প্রশ্ন তুললেন বরুণ।
এদিন সকালে মোদি সরকারের আমলের বেকারত্ব নিয়ে বরুণ যা লেখেন, যার বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায়, ‘প্রথমত, সরকারি চাকরি নেই, তারপরও কোনো সুযোগ এলে পেপার ফাঁস হয়ে যায়, পরীক্ষা দিলে বছরের পর বছর কোনো ফল হয় না, তারপর কোনো না কোনো কেলেঙ্কারিতে বাতিল হয়ে যায়। রেলওয়ে গ্রুপ ডি-এর ১.২৫ কোটি যুবক দুই বছর ধরে ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে। সেনাবাহিনীতে নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। কবে পর্যন্ত ভারতের যুবকদের ধৈর্য ধরতে হবে?’
দিন কয়েক আগেই ২০ লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থীর উত্তরপ্রদেশ টেট পরীক্ষা বসার কথা ছিল। যোগী সরকার স্বীকৃত প্রাইমারি এবং আপার প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতার জন্য এই পরীক্ষায় পাশ করা বাধ্যতামূলক। সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রই এ দিন পরীক্ষা শুরুর আগে ফাঁস হয়ে যায়। পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেও পরীক্ষায় বসতে না পারায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরিপ্রার্থীরা। একাধিক কেন্দ্রের বাইরে ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বরুণের এই পোস্ট উত্তর প্রদেশের টেট দুর্নীতির দিকে ইঙ্গিত করে। তবে, শুধু টেট নয়। সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও সরকারের বিরুদ্ধে এদিন মুখ খোলেন বরুণ।
पहले तो सरकारी नौकरी ही नहीं है, फिर भी कुछ मौका आए तो पेपर लीक हो, परीक्षा दे दी तो सालों साल रिजल्ट नहीं, फिर किसी घोटाले में रद्द हो। रेलवे ग्रुप डी के सवा करोड़ नौजवान दो साल से परिणामों के इंतज़ार में हैं। सेना में भर्ती का भी वही हाल है। आखिर कब तक सब्र करे भारत का नौजवान??
— Varun Gandhi (@varungandhi80) December 2, 2021
আরও পড়ুন – ‘প্রধানমন্ত্রী’ পরের ভাবনা, বিজেপিকে বোল্ডআউটই লক্ষ্য: মমতা
বরুণ গান্ধীর সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক বিশেষ ভাল নয়। সম্প্রতি তাঁকে এবং তাঁর মাকে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। দলের সঙ্গে যোগাযোগও খানিক ফিকে হয়েছে। তাই কোনও রাখঢাক না করেই বার বার সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বরুণ। কখনও লখিমপুর খেরি মামল নিয়ে আবার কখনও বা কৃষি আন্দোলন নিয়ে। বার বার কেন্দ্রের সমালোচনা করেছেন।
এমনকী কৃষক মৃত্যুর কারণে সরকারের থেকে ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন ইন্দিরা পৌত্র বরুণ। নিজে বিজেপির সাংসদ হয়েও বার বার দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন বরুণ। ফলে, বার বার একই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি আগামী উত্তর প্রদেশ ভোটের আগেই গেরুয়া শিবির ছাড়তে চাইছেন বরুণ? নাকি ভাই রাহুলের ‘ হাত’ শক্ত করতে কংগ্রেসের ‘হাত’ ধরবেন তিনি?