নয়াদিল্লি: শনিবার দিল্লিতে ঘটেছে পালাব্দল। দীর্ঘ ২৭ বছর পর রাজধানীতে (Delhi Assembly Election 2025) সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি (BJP)। ১৯৯৩ সালের পর এবছর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক মহিলা ভোট (Woman Voter) দিয়েছিলেন। অর্থাৎ, মহিলা ভোটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এবার মহিলা বিধায়কের (Woman MLA) সংখ্যা নেমে এসেছে সর্বনিম্ন স্তরে। দিল্লিতে ৭০টি আসনের মধ্যে মাত্র পাঁচজন মহিলা জয়ী হয়েছেন। গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম মহিলা বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন সেখানে।
পরিসংখ্যান বলছে, এবছর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে মোট ৭২.৩৬ লক্ষ মহিলা ভোটারের মধ্যে ৪৪.০৮ লক্ষ ভোট দিয়েছেন, যা মোট ভোটারের ৬০.৯ শতাংশ। এই হার পুরুষ ভোটারের (৬০.২%) তুলনায় সামান্য বেশি। ১৯৯৩ সাল থেকে এবারই সবচেয়ে বেশি মহিলা ভোট দিলেও মহিলা প্রতিনিধিত্ব কমে যাওয়া দিল্লিতে লিঙ্গ সমতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীকে সামনে না এনেও কীভাবে দিল্লি জয় করল বিজেপি?
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মোট ৬৯৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৯৬ জন ছিলেন মহিলা। বিজেপি এবং আম আদমি পার্টি (AAP) দু’টি দলই ন’জন করে মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল। কংগ্রেসের মহিলা প্রার্থী ছিলেন সাতজন। ২০২০ সালের তুলনায় এবার প্রধান দলগুলির মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত বিধানসভায় জয়ী হতে পেরেছেন মাত্র পাঁচজন।
এবার দিল্লি বিধানসভায় মাত্র পাঁচজন মহিলা প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। আম আদমি পার্টির একমাত্র জয়ী মহিলা বিধায়ক হলেন আতিশী। কালকাজি আসনে বিজেপির রমেশ বিধুরিকে ৩,৫২১ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। এছাড়াও বিজেপির নীলম পাহেলওয়ান নজফগড় আসনে, রেখা গুপ্ত শালিমার বাগ আসনে, পুনম শর্মা ওয়াজিরপুর আসনে এবং শিখা রায় গ্রেটার কৈলাস আসনে জয়ী হয়েছেন।
পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯৩ সালে মাত্র ৩ জন মহিলা বিধায়ক ছিলেন দিল্লি বিধানসভায়। ১৯৯৮ সালে এই সংখ্যা বেড়ে ৯-এ পৌঁছায়, যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এরপর ২০০৩ সালে মহিলা বিধায়কের সংখ্যা ৮-এ নেমে আসে। ২০০৮ ও ২০১৩ সালে মাত্র ৩ জন মহিলা জয়ী হন। ২০১৫ সালে ৬৩ জন মহিলা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, কিন্তু জয়ী হন মাত্র ৬ জন। ২০২০ সালে ৭৬ জন মহিলা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, জয়ী হন ৮ জন। এবার সেই সংখ্যাটা আরও কমে গেল।
দেখুন আরও খবর: