নয়াদিল্লি: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকেই যেন ফের পদ্ম-ঝড় শুরু হয়েছে রাজ্যে রাজ্যে। হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের পর এবার দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনেও জিতল বিজেপি (BJP)। তাহলে কি ফের ‘মোদি ম্যাজিক’ শুরু হয়েছে ভারতে? না, এই উত্তরটা দেওয়া আপাতত যুক্তিযুক্ত না হলেও পরপর তিন রাজ্যে বিজেপির সরকার গড়া একটা কিছু ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারণ দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ (Chief Minister Face) সামনে না এনেই ভোটে লড়েছে পদ্ম শিবির। আর তাতেই জয় এসেছে বিপুল ব্যবধানে। তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ছাড়া লড়াইয়ে বিশেষ সুবিধা পেল বিজেপি? এই প্রশ্নটা এখন প্রাসঙ্গিক হচ্ছে।
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, ২০২৫-এ (Delhi Election 2025) আম আদমি পার্টির (AAP) একের পর এক ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী হেরে গিয়েছেন। এর মধ্যে যেমন রয়েছেন প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, তেমনই রয়েছেন খোদ অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। আবার হারের তালিকায় নাম রয়েছে আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ থেকে শুরু করে দুর্গেশ পাঠক এবং অবধ ওঝার নামও। একসাথে এতজন নেতার উপর কেন আস্থা হারালেন দিল্লির ভোটাররা? এই প্রশ্নের উত্তরেও অনেকেই বলছেন মোদি ম্যাজিকের তত্ত্ব।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে হারলেন কেজরিওয়াল সহ এই ৫ ‘হেভিওয়েট’ AAP প্রার্থী
তবে অনেকেরই মতে, দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কোনও প্রার্থীকে সামনে না এনে পরোক্ষভাবে লাভবান হয়েছে পদ্ম শিবির। কারণ অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রথমবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই একাধিক রাজ্যে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। সেইসব রাজ্যে তিনি নিজেকেই মোদির বিপক্ষে দলের মুখ হিসেবে ‘প্রোজেক্ট’ করার চেষ্টা করেছিলেন। অর্থাৎ, বরাবর মোদির সমকক্ষ হিসেবে নিজেকে দেখাতে চেয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তাঁর এই অভিপ্রায়কেই ভোটে জেতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে পদ্ম শিবির।
২০২৫-এর দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কেজরিওয়ালের বিপক্ষে মোদিকে বিভিন্ন মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে। এভাবে কেজরির বিরুদ্ধাচারন করার কাজে মোদি ছাড়া বিজেপির দিল্লির আর কোনও নেতা হয়তো সেভাবে সফল হতে পারতেন না। তাই কাউকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে দেখিয়ে দিল্লির ভোটারদের প্রভাবিত করার থেকে মোদি বনাম কেজরি লড়াইকে সামনে রেখে দিল্লির নির্বাচনে লড়েছে এবং শেষমেষ জিতে সরকারও গড়তে চলেছে বিজেপি।
দেখুন আরও খবর: