আদালতের নির্দেশ মেনে ইডি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সব ডিরেক্টর, সদস্য এবং সিইও-র সম্পত্তির খতিয়ান জমা দিল বৃহস্পতিবার। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওই সংস্থার সব ডিরেক্টর, সিইও-র সম্পত্তির হিসেব দাখিল করতে হবে ইডিকে ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। এমনকী এই সংস্থার সঙ্গে যদি চলচ্চিত্র জগতের কারও কোনও যোগাযোগ থাকে, তাঁর বা তাঁদেরও সম্পত্তির হিসেব দিতে হবে। তিনি ইডিকে বলেছিলেন, তদন্ত করছেন যে সংস্থার বিরুদ্ধে, তার সম্পত্তি কত, তা জানেন না?
আদালত সূত্রের খবর, ইডি তাদের রিপোর্টে এই সংস্থার সঙ্গে মাত্র একজন চলচ্চিত্র অভিনেতার আর্থিক লেনদেন ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ইডির আইনজীবী ধীরাজ দ্বিবেদি জানান, ওই অভিনেতার সঙ্গে ৪৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। তিনি সেই টাকা ফেরতও দিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, যতটা তথ্য এবং নথি সংগ্রহ করতে পেরেছি, তার ভিত্তিতে এই রিপোর্ট। তদন্ত চলছে। আর একটু সময় দিতে হবে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির চার্জশিটে পার্থর নামে সিলমোহর রাজভবনের
বিচারপতি সিনহা বলেন, গোটা চলচ্চিত্র জগতের মধ্যে মাত্র একজনের সন্ধান পেলেন? আর কেউ আর্থিক লেনদেনে যুক্ত নন?
বেশ কিছুদিন আগে ইডি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার বিভিন্ন অফিসে প্রায় ১৮ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর ডিজিটাল নথি উদ্ধার করে। তাদের কয়েকটি কম্পিউটারও বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই ঘটনার দুদিন আগেই অভিষেক বিদেশ থেকে কলকাতায় ফেরেন। ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ছেলেটা দুদিন আগে বিদেশ থেকে ফিরেছে। তার মধ্যেই ওর পাঁচ জায়গায় ওরা লোক পাঠিয়ে দিয়েছে। আমি জানতাম না। রাতে আইনজীবীর কাছ থেকে জানতে পারি। আমার পরিবারের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে ওরা।
অভিষেকের সংস্থায় তল্লাশি নিয়ে তখন জোর বিতর্ক চলে। ইডি লিখিত বিবৃতিতে ওই তল্লাশির বিবরণ জানিয়ে বলে, অভিষেক এখনও ওই সংস্থার সিইও। সংস্থার প্রাক্তন সিওও সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু অবশ্য নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন জেলবন্দি। ইডির বিবৃতিতে অভিষেকের নাম থাকাতেই বিচারপতি সিনহা ইডির কাছে জানতে চান, কেন এর পরেও তাঁকে ডাকা হচ্ছে না। সু্প্রিম কোর্ট তদন্তে বাধা দেয়নি। তবু কেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। তার কিছুদিন পরই ইডি ফের তলব করে অভিষেককে। জিজ্ঞাসাবাদে তৃণমূল নেতা স্বীকার করেন, তিনি এখনও লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও পদে আছেন। এখনও অভিষেকের মা এবং বাবা ওই সংস্থার ডিরেক্টর রয়েছেন