গ্রুপ সির নিয়োগ (SSC Group C) দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) নাম উল্লেখে রাজ্যপালের (CV Anand Bose) অনুমোদন মিলল। এই প্রথম সিবিআইয়ের চার্জশিটে রাজভবনের অনুমোদন এল। বৃহস্পতিবার সিবিআই আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে এ কথা জানিয়েছে। এখনও ৫ অভিযুক্তের নাম রাজ্যের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
এদিকে এদিন প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ইডি-ও রিপোর্ট দিয়েছে। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর কীভাবে নথিবদ্ধ হয়েছিল, ওএমআর শিটের মূল্যায়ন এবং সংরক্ষণ পদ্ধতি কী ছিল, তা পর্ষদকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে হবে।
পর্ষদ তাদের রিপোর্টে মেনে নিয়েছে যে, ২০১৬ সালের ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। আদালত অবশ্য এই রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয়। তাদের ফের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি সিনহা পর্ষদের কাছে জানতে চায়, আপনাদের কাছে যদি ওএমআর শিটের প্রতিলিপি না থাকে, তবে প্রার্থীরা কত নম্বর পেয়েছিলেন, তাঁদের নম্বর বদলে কত করা হয়েছিল, তার বিচার হবে কী করে। পর্যদের আইনজীবী বলেন, ইডির রিপোর্টও খুব স্পষ্ট নয়। কে বা কারা টেট পাশ করেছে, কারা করেনি, কার নম্বর বাড়ানো হয়েছে, সেসব ইডি নির্দিষ্ট করে বলেনি। শুধুমাত্র সন্দেহজনক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পরুন:মুখ্যমন্ত্রী ও সঙ্গীদের বিদেশ সফর নিয়ে চিঠি শুভেন্দুর
মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, এটা একটা বড় দুর্নীতি। মানুষের কাছেও অনেক তথ্য রয়েছে। তারা তা জানাতে পারলে তদন্তে সুবিধা হবে। বিচারপতি বলেন, এত যে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হল, তী কীসের টাকা। পর্ষদের আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত বলেন, একাধিক দুর্নীতির তদন্ত চলছে। হতে পারে এটা গরু পাচারের, কয়লা পাচারের কিংবা নিয়োগ দুর্নীতির টাকা। আমরা কী করে জানব। বিচারপতি বলেন, আপনার কি মনে হয়, প্রার্থীরা নিজের থেকে এগিয়ে এসে বলবে, আমরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছি? তিনি আরও জানতে চান, কার সিদ্ধান্তে বা নির্দেশে ওএমআর শিট ডিজিটাইজ করা হয়েছিল। পর্ষদের আইনজীবী বলেন, সেটা আমরা লিখিত আকারে জানাব। বিচারপতি জানান, ডিজিটাইজ কেমন করে করা হয়েছিল, তা জানার জন্য সিবিআই, ইডি পর্ষদ অফিসে যেতে পারবে। ১০ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি