কলকাতা: কথায় বলে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। সারা সপ্তাহ অফিসের চাপের পর দুদিনের ছুটি (Holiday) পেলেই হল। মনে হয় কোথাও একটু বেরিয়ে আসি, কিন্তু ভিড়ভাট্টার জায়গায় যেতে মন চায় না। একটু শান্ত নিরিবিলিতে সময় কাটাতে মন চায়। কিন্তু কোথায় যাবেন কিছু ভেবেছেন কি? চিন্তা নেই! কলকাতার আশেপাশেই এমন কিছু জায়গা (Destination) রয়েছে যেখানে একদিনের ছুটি থাকলেও বেরিয়ে আসতে পারবেন। এবারের উইকেন্ডেে (Weekend) যেতে পারেন বর্ধমানে। পূর্ব ও পশ্চিম মিলিয়ে বর্ধমানে এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যা ঘুরে দেখা দরকার।
কার্জন গেট: বর্ধমান শহরের প্রবেশদ্বার বলা হয় এই কার্জন গেটকে। গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড ধরে বর্ধমান শহর গেলে এই গেট পেরিয়েই আপনাকে ঢুকতে হবে। বিসি রোড ও জিটি রোডের সংযোগস্থলে অবস্থিত এই গ্রেটটি। ১৯০৩ সালে বর্ধমানের রাজপরিবারের তৎকালীন রাজা বিজয় চাঁদ মহাতাবের রাজ্যাভিষেক উপলক্ষে এই গেট তৈরি করা হয়েছিল। ১৯০৪ সালে তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জনের বর্ধমান সফরের সময় গেটটির নাম দেওয়া হয় ‘কার্জন’। যদিও স্বাধীনতার পর এর নাম হয় ‘বিজয় তোরণ’।
আরও পড়ুন: পুজোতে প্রথমবার ট্রেকে যাচ্ছেন? কী কী সঙ্গে রাখবেন জানুন
১০৮ শিব মন্দির: কালনার ১০৮ শিব মন্দির পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। ১৭৮৮ সালে মহারাজা তিলোকচন্দ্রে স্ত্রী মহারানি বিষ্ণান কুমারী এই শিব মন্দির তৈরি করেছিলেন। এখানে ১০৮টি শিব মন্দির আয়তক্ষেত্রাকার ভাবে মালার আকারে অবস্থিত। মন্দিরের সঙ্গে রয়েছে দু’টি বিশাল আকারের জলাশয়। আটচালা বিশিষ্ট এই মন্দির বর্ধমানে সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। ১০৮ শিব মন্দিরের পাশাপাশি ঘুরে নিতে পারেন কালনা রাজবাড়ি। অম্বিকা কালনার অতীতের প্রতিনিধিত্ব করে এই বাজবাড়ি।
দার-উল বাহার ও হাওয়া মহল, গোলাপবাগ: বর্ধমান শহরের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত গোলাপবাগ। ১৮৮৩ সালে রাজা বিজয় চাঁদ মাহাতাব প্রতিষ্ঠিত করেন এই গোলাপবাগ। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত গোলাপবাগ পর্যটকদের জন্য খোলা থাকে।
সর্বমঙ্গলা মন্দির: ১৭০২ সালে মহারাজা কীর্তিচাঁদ তৈরি করেছিলেন এই মন্দির। বর্ধমানের ডিএন সরকার রোডের উপর অবস্থিত এই মন্দির। এখানে দেবী সর্বমঙ্গলার মূর্তি প্রায় ১০০০ বছরের পুরনো। বর্ধমানের এই মন্দির অবিভক্ত বাংলার প্রথম নবরত্ন মন্দির।
খ্রিষ্ট গির্জা: মন্দির ছাড়াও এই জেলায় রয়েছে চার্চ। ১৮১৬ সালে, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজত্বকালে এই চার্চ তৈরি করা হয়। কার্জন গেটের কাছেই অবস্থিত এই গির্জা। এটি বর্ধমানের সবচেয়ে পুরনো চার্চ।