বনগাঁ: ফের বিজেপির হেঁশেলে বনভোজনের আগুন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোপালনগর থানার নহাটা এবং গোবরডাঙার পর আজ গাইঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের ঠাকুরনগরের ষষ্ঠীতলায় বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বনভোজন।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাইঘাটা পূর্ব মণ্ডল এলাকায় এই পিকনিক হচ্ছে। পিকনিকে উপস্থিত থাকতে পারেন বিজেপির মতুয়া নেতা শান্তনু ঠাকুর, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। তবে রাজ্যস্তর থেকে বিজেপির কেউ থাকবেন কি না জানা যায়নি। প্রায় ৩০০ লোকের আয়োজন রয়েছে বনভোজনের। ভাত-ডাল থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবই থাকছে এই পিকনিকে।
বিজেপির (Bengal BJP) নতুন রাজ্য কমিটিতে মতুয়াদের প্রতিনিধিত্ব না-থাকায় দলীয় হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে আসা দিয়ে প্রতিবাদের শুরু। তারপর সময় যত গড়িয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) ততই বেসুরো হয়েছেন। একাধিকবার বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বনগাঁর সাংসদ। কলকাতার পোর্টট্রাস্ট গেস্টহাউসে বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতৃত্বের বৈঠক হয়। তারপর গত ১৭ জানুয়ারি ফের পিকনিককে সামনে রেখে মিলিত হন তাঁরা।
আরও পড়ুন- Dilip Ghosh: ‘আমি এর মধ্যে নেই’, জয়প্রকাশ-রীতেশ ইস্যুতে দায় নিতে নারাজ দিলীপ
বনগাঁর রঘুনাথপুরে গোপালনগর দক্ষিণ মণ্ডলের সভাপতি হরিশঙ্কর সরকারের বাড়িতে পিকনিক হয়। সেবারেও শান্তনুই পিকনিকের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন। গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের অশোক কীর্তনিয়া, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী, কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক আশিস বিশ্বাস, সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারিরাও ছিলেন ওই পিকনিকে।
যদিও শান্তনু ঠাকুর সবক্ষেত্রেই নিছক পিকনিক বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, বনগাঁ ছাড়া অন্যান্য এলাকার কর্মকর্তা, কার্যকর্তারা পিকনিকে যোগ দিচ্ছেন। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। নতুন বছরে সবাই মিলে মিলিত হওয়ার জন্যই এই পিকনিকের আয়োজন করা হয়েছে। শান্তনু একথা বললেও বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বৈঠকের পরপরই একের পর এক পিকনিকের আয়োজন, বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।