কৃষ্ণনগর: নদিয়ায় দলীয় কোন্দল রুখতে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠকে (Administrative Meeting) দলের একাধিক সাংসদ-সহ পদাধিকারীর নাম করেই তাঁর হুঁশিয়ারি, নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করলে চলবে না। সামনেই পুরভোট (Civic Polls) ৷ ঠিকঠাক করাতে হবে। বরং, পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করতে হবে।’
বৃহস্পতিবারের প্রশাসনিক বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার ‘নিশানা’য় ছিলেন নদিয়া উত্তরের জেলা সভাপতি তথা প্রাক্তন যুব নেতা জয়ন্ত সাহা ও কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র৷ বৈঠক চলাকালীন তাঁদের নাম করেই মমতার নির্দেশ, ‘‘কৃষ্ণনগরে ঝগড়া করলে চলবে না। সকলকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে৷ কে কার বিরুদ্ধে তা শুনবো না৷’ এরপরই জয়ন্ত সাহা কে, তা জানতে চান মমতা৷ জয়ন্ত উঠে দাঁড়াতেই ধমক দিয়ে বলেন, মাঝে গন্ডগোল হয়েছিল, কেন হয়েছিল? যা ইউটিউবে, ইন্টারনেটে ঘুরছিল৷’ জয়ন্তকে বলার সুযোগ না দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমি জানি কে বা কারা এর পিছনে আছে? সিআইডি, এডিজি-কে দিয়ে ক্রস চেক করিয়েছি৷’
মহুয়ার উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘মহুয়াকে এখানে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, কে কার বিরুদ্ধে ওসব জানি না৷ সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে৷ একটি ভিডিয়ো বানিয়ে ছেড়ে দিলে হয় না৷ কে নির্বাচনে লড়াই করবে তা পার্টি ঠিক করবে৷ সাজিয়ে, গুছিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউবে, সংবাদ মাধ্যমকে দিলেই হয় না৷ একসঙ্গে কাজ করতে হবে৷’
আরও পড়ুন-কলকাতা পুরভোট: রাজ্য পুলিস টিএমসি-র দলদাস, আধাসামরিক বাহিনীর দাবিতে অনড় শুভেন্দু
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগরে দলের নেতা-নেত্রীরা নিজেদের মধ্যে বহু বার প্রকাশ্যেই ঝামেলায় জড়িয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ভিডিয়ো, অডিয়ো ভাইরাল হয়েছে৷ জেলা সদরে পোস্টার পড়েছে৷ একুশের ভোটের আগে এ বিষয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ানো হলেও তৃণমূল সূত্রের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই অন্যতম কারণ৷ তার উত্তাপ নদিয়া তো বটেই, কখনও কখনও পৌঁছেছে রাজ্য রাজনীতিতেও। যে কারণে বৃহস্পতিবার মুখ খুলতে বাধ্য হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷