রায়পুর: স্মার্টফোন (Smart Phone) ছাড়া বর্তমান যুগে নিজেকে ভাবতে পারে না মানুষ। ছোট থেকে বড় সকলের হাতেই দাপিয়ে রাজত্ব করছে এই প্রযুক্তিটি। বাড়িতে অফিসের কাজ থেকে করোনার সময় পড়াশোনা সেই সময় নিজের গুরত্ব আরও বুঝিয়ে দিয়েছে স্মার্টফোন। সেই স্মার্টফোনের যুগে টিভি নেই ভারতেরই এক গ্রামে! শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি।
মাওবাদী অধ্যুষিত (Maoist dominated) এই ছত্তিশগড়ের গ্রামটিতে টেলিভিশন (Television) নেই, টিভি না দেখেই বহু প্রজন্ম কাটিয়ে দিয়েছে বছরের পর বছর। প্রথম টিভির আবিভার্ব হল ২০২৪-এর ১১ ডিসেম্বর। প্রথম এই যন্ত্রটি ঠিকভাবে চোখের সামনে দেখল ছোট থেকে বুড়োরা। পূরবাতি গ্রামটি ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) মাওবাদী অধ্যুষিত। এখানে এখনও সেভাবে উন্নয়নের আলো পৌঁছয়নি।
আরও পড়ুন: ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করেছিলেন জাকির, মেনে নেননি মা
সেখানকার বাসিন্দারা স্বাধীনতার পর প্রথম বার দেখল, টেলিভিশন কাকে বলে। কি রকম দেখতে হয়। ছত্তিশগড়ের রাজ্য পুনর্নবীকরণ শক্তি উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে একটি ৩২ ইঞ্চির টিভি বসানো হয়েছে গ্রামে। লাগানো হয়েছে সেট টপ বক্সও। যার সাহায্যে ১০০টি চ্যানেল বিনামূল্যে দেখা যাবে। টিভিটি চলবে সৌরবিদ্যুতের সাহায্যে।
চলতি বছরের একেবারে শুরুর দিকে মাওবাদী অধ্যুষিত সিলগার ও তেকালগুদেম গ্রামেও আলো, পাখা এবং টিভি এসেছে। সৌরবিদ্যুতের সাহায্যেই সেগুলি চলছে।
জেলার কালেক্টর দেবেশ কুমার ধ্রুব জানান, এতদিন পর গ্রামে টিভি এল এটা সত্যি খুব খুশির খবর। শিশু থেকে বড় সবাই শিক্ষামূলক থেকে বিনোদন সব ধরনের অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন। গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই প্রচেষ্টাগুলি শুধুমাত্র গ্রামবাসীদের মৌলিক চাহিদা মেটাবে না বরং পরিবেশবান্ধব শক্তি ব্যবহারে উৎসাহ দেবে এবং পরিবেশ সংরক্ষণের জোর দেবে।
টিভি পেয়ে খুশি গ্রামবাসীরা। তাঁদের কথায় এতদিন গ্রামে টিভি ছিল না, বহির্বিশ্বে কি হচ্ছে কিছুই জানতে পারতাম না। প্রথম চোখের সামনে খবর, সিরিয়ালা সহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান দেখতে পাচ্ছি। যার অনুভূতি কাউকে বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
দেখুন অন্য খবর: