আলিপুরদুয়ার: জেলা হাসপাতাল (Alipurduar district hospital) থেকে মৃতদেহ নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়দের। হাসপাতালে কোনও সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নেই (Not Have An Ambulance)। তার সুয়োগ নিচ্ছেন হাসপাতাল চত্বরে থাকা বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা। তাঁরা ইচ্ছেমতো দর হাঁকেন মৃতদেহ বহন করার জন্য। এই বিষয়ে একাধিকবার জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছে রোগীর পরিবার। কয়েকবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অ্যাম্বুল্যান্সে করে মৃতদেহ বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়। তারপরও মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মৃতের পরিবারকে। অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে অভিযোগ এই প্রথম নয়।
সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটে অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ায় বাড়িতেই এক চা শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ফোন করেও মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স, এমনটাই দাবি পরিবারের। আবার মালদহে রাস্তা খারাপের অজুহাত দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স আসেনি। রোগীকে খাটিয়া করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় মৃত্যু হয় তাঁর।
আরও পড়ুন: ম্যানগ্রোভ কাটার অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি নেতা
উল্লেখ্য, দলগাঁও বীরপাড়া এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার অভাবে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। সেই ঘটনায় নড়েচড়ে বসে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে রোগী এবং রোগীর পরিবারদের সুবিধের কথা মাথায় রেখে এবার আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্সের নির্দিষ্ট ভাড়ার চার্ট চালু করতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষত মৃতদেহ বহনের জন্য আলিপুরদুয়ার পুরসভা ও আরও দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মোট তিনটি শববাহী গাড়ি জেলা হাসপাতালে পরিষেবা দেওয়ার জন্য রাখার ভাবনা রয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এছাড়াও একই দিনে আরও মৃতদেহ বহনকারী গাড়ির প্রয়োজনে বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা জেলা হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ গীর পরিবারদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারবেন। তবে তা নির্ধারিত নির্দিষ্ট ওই রেট চার্টের মাধ্যমে। এক কথায় মৃতদেহ বহনের ক্ষেত্রে ভাড়া নিয়ে জুলুমবাজি রুখতে এই পদক্ষেপ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
আরও অন্য খবর দেখুন