ঢাকা: জামাত ও তার ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ (Bangladesh to ban Jamaat-e-Islami party) করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামি লিগ ও তাদের জোটসঙ্গীদের। কোটা আন্দোলনের জেরে অচল হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। আন্দোলনে প্রায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আন্দোলনের পিছনে বিএনপি ও জামাতের হাত রয়েছে মনে করছে বাংলাদেশের শাসকদল ও জোট শরিকরা। সোমবার গণভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) আওয়ামি লিগ-সহ ১৪ দলের শাসকজোটের শরিকরা বৈঠকে বসেছিলেন। বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন যে বিরোধী দল জামায়াত-ই-ইসলামী দল এবং এর ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে।
আওয়ামি লিগ-সহ ১৪ দলের শাসকজোটের শরিকদের বৈঠক শেষে জানা গিয়েছে সন্ত্রাস দমন, দেশের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। দেশের মানুষের মন থেকে ভয় দূর করতে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে জামাত-ই ইসলামি ও তার ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় শাসকজোটের বৈঠকে। বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন যে বিরোধী দল জামায়াত-ই-ইসলামী দল এবং এর ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করা হবে। সোমবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় নেতৃত্বাধীন জোট জামায়াত-ই-ইসলামী এবং তার ছাত্র সংগঠনকে ছাত্র বিক্ষোভের সময় হিংসা চালানো জন্য দায়ী করা হয়েছে। আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “বিএনপি, জামাত, ছাত্রদল, জঙ্গিগোষ্ঠী বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের চেষ্টা করছে।তবে, জামায়াতে ইসলামী অভিযোগ অস্বীকার করেছে, সরকারী ঘোষণাকে “অবৈধ পদক্ষেপ” বলে বর্ণনা করেছে। এক বিবৃতিতে বলেছে, “ছাত্রদের হত্যার ঘটনা আড়াল করার জন্য সরকার বিরোধীদের দোষারোপ করছে।
আরও পড়ুন: ইরানকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকি ট্রাম্পের
ঝড় কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। সোমবার থেকে স্বাভাবিক সময়সীমায় সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত শুরু হয়েছে সরকারি, বেসরকারি সহ সমস্ত অফিস। আগামী শনিবার পর্যন্ত সকাল সাতটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে কারফিউ।
অন্য খবর দেখুন
