ওয়েবডেস্ক- মাউন্ট এভারেস্টে (Mount Everest) প্রবল তুষার ঝড় (Blizzard) । আটকে প্রায় ১০০০ অভিযাত্রী সহ পর্যটকেরা। চীনের সংবাদমাধ্যম অনুসারে তিব্বতের এভারেস্টের পূর্ব ঢালে একজন পর্বতারোহীর (Mountaineer) মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। চীন সরকারের পক্ষ থেকে ঝড়ের গতিতে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৩৫০ ট্রেকারকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে বলে খবর।
চীনের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার ৫ অক্টোবর প্রায় ৩৫০ জন ট্রেকারকে নিরাপদে উদ্ধার করে স্থানীয় কুডাংয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আটকের পড়া পর্বতারোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে, তাদের ধাপে ধাপে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযাত্রীরা এভারেস্টের পূর্ব দিকের কাংশুং-এর সামনের দিকে কার্মা উপত্যকা ক্যাম্পসাইটগুলিতে আটকে পড়েন। এই অঞ্চলের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে গড়ে ৪,২০০ মিটার (প্রায় ১৩,৮০০ ফুট)।
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে তুষারঝড় শুরু হয়েছিল, সেটি ক্রমশ প্রবল থেকে প্রবলতর হয়। ৪,৯০০ মিটার (১৬,০০০ ফুট) এরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত এই অঞ্চলে তুষারপাতের কারণে প্রবেশপথ পরিষ্কার করার জন্য শত শত স্থানীয় গ্রামবাসী এবং উদ্ধারকর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে।
চীনের গোল্ডেন উইক (China Golden Week) ছুটির সময় এই অঞ্চলে শত শত পর্যটক ভিড় করেছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন প্রকৃতি আলোকচিত্রী ডং শুচাংও (Nature photographer Dong Shuchang) । শনিবার তিনি ট্রেকিং শুরু করার কয়েক ঘন্টা পরেই যখন তুষারঝড় আঘাত হানে। ডং জানান, বিদ্যুৎপাত এবং বজ্রপাত থামছিল না। তুষারপাত এতটাই তীব্র ছিল যে আমি ঘুমাতেও পারছিলাম না। তার দলটি ৪,৬০০ মিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল এবং তারা ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। আমাদের উইন্ডব্রেকার এবং রেইনকোট এই তুষারঝড়কে সামলাতে পারছিলেন না। ২০ জনের দলের বেশ কয়েকজনের হাইপোথার্মিয়ার (Hypothermia) লক্ষণ দেখা গেছে।
আরও পড়ুন- বাংলায় দুর্যোগের আবহে দিল্লিতে ভারী বৃষ্টি, জারি কমলা সতর্কতা
চীনে সপ্তাহব্যাপী জাতীয় দিবসের ছুটির মাঝামাঝি সময়ে, যা গোল্ডেন উইক নামে পরিচিত। এটি পর্যটনের জন্য একটি শীর্ষ মৌসুম। আবহাওয়ার এই আকস্মিক পরিবর্তনকে ট্রেকার এবং গাইডরা ‘অস্বাভাবিক’ বলে জানিয়েছেন। তুষারঝড়ের কারণে পর্যটকদের সুরক্ষায় স্থানীয় টিংরি কাউন্টি ট্যুরিজম কোম্পানি শনিবার রাত থেকে এভারেস্ট সিনিক এরিয়াতে টিকিট বিক্রি ও প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে স্থগিত করে দেয়।
প্রসঙ্গত, প্রতিবেশী নেপালে প্রবল বৃষ্টিপাত ও বন্যায় কমপক্ষে ৬৩ জন নিহত, রাস্তাঘাট বন্ধ এবং সেতু ভেসে গেছে। চীনের অপর প্রান্তে, টাইফুন মাতমো দেশটির পূর্ব উপকূলে আঘাত হেনেছে। যার ফলে প্রায় ১,৫০,০০০ মানুষকে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
দেখুন আরও খবর-