নদিয়া: বড়দের সঙ্গে ইয়ার্কি মারার সাজা হিসেবে হাত পা বেঁধে পিঁপড়ের চাকে নাবালক শিশুকে ফেলে দেওয়া হল। তিন ঘন্টা বাদে উদ্ধার। শিশুটি ভর্তি হাসপাতালে। অভিযুক্ত স্থানীয় সিপিএম নেতা হওয়ার কারণে থানায় আসতে বাধা।
দীর্ঘক্ষণ নিখোঁজ থাকার পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পিঁপড়ের চাক থেকে উদ্ধার পাঁচ বছরের এক নাবালক। তার বক্তব্য অনুযায়ী প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে মুখে ইয়ার্কি মারার জন্যই শাস্তির এই বেনজির দৃষ্টান্ত। অভিযুক্ত এলাকার দাপুটে সিপিএম নেতা হওয়ার কারণে থানায় অভিযোগ করতে বাধা শিশুটির মাকে। চরম অমানবিক এবং নির্মম ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর হরিপুর পঞ্চায়েতের সাহেব ডাঙ্গা গ্রামে। বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটে থেকে জসিদ আলি ধাবকের ৫ বছর বয়সী নাবালক সন্তান রাজীবকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বাবা জোসিদ এবং মা রোজিনা বিবি সে সময় বাড়ি ছিলেন না। সন্ধের সময় তারা ফিরে এসে ছেলেকে খোঁজ করতে গিয়ে লক্ষ্য করে মাঠে যাওয়ার একটি নির্জন রাস্তায় তার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রয়েছে একটি পিঁপড়ের চাকের উপর। ওই শিশুটির বক্তব্য অনুযায়ী, প্রতিবেশী ইসমাইল ধাবক তাকে এই অবস্থা করেছে। সহযোগিতা করেছে সাইফুল নামে পাড়ারই অপর এক যুবক।
আরও পড়ুন: পূর্ণিমা কান্দুর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জল্পনা বাড়ল
এরপর নাবালক ওই শিশুর মা রোজিনা বিবি বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যদের জানায়। শান্তিপুর সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের আত্মীয়-স্বজন দেখতে আসে ওই শিশুকে। তখন তাদের গাড়ি আটকে এমনকী নাবালকের মাকে থানায় যেতে বাধা দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। অন্যদিকে শিশুর শারীরিক পরিস্থিতি সুস্থ করার জন্য শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শান্তিপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ প্রশাসন গিয়ে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে। শিশুটি বর্তমানে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি।
দেখুন অন্য খবর: