লখনউ: ‘শ্রীরামের বনবাস, লক্ষণ দ্বারা রামের পদাঙ্ক অনুসরণ, ভরতের আত্মত্যাগ উল্লেখ করে খুনের মামলায় পিতা পুত্রকে মৃত্যুদণ্ড (sentence to death উত্তর প্রদেশের বেরিলি আদালতের (Uttarpradesh Court)।
ভগবান রামের জন্য লক্ষণ এবং ভরতের আত্মত্যাগ ও ভালোবাসা এক অসাধারণ উদাহরণ। সেখানে অভিযুক্তদের আচরণ ভয়ংকরভাবে বিপরীত। ভাই তথা কাকার বিরুদ্ধে অভিযুক্তদের আচরণের তীব্র সমালোচনা করে বেরিলি আদালতের (Court) মৃত্যুদণ্ড।
আদালত বলে, রামের পদাঙ্ক অনুসরণ করে লক্ষ্মণ ১৪ বছরের বনবাস পর্ব কাটিয়েছেন। অন্যদিকে রামের পাদুকা সিংহাসনে রেখে ভরত ১৪ বছর রাজ্য শাসন করেছেন।
আরও পড়ুন: অজয় মাকেনের ‘কেজরি দেশবিরোধী’র পালটা তোপ অতিশীর
সেই সমাজের প্রতিনিধি হয়ে প্রথম অভিযুক্ত তার ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে ভাইকে ভয়ঙ্করভাবে খুন করতে পিছপা হয়নি।
পুলিশি তথ্য অনুযায়ী ভাইপো মনু কাকার বুক লক্ষ্য করে দুটি গুলি চালায়। তারপর চরণ সিং-এর মৃত্যু নিশ্চিত করতে রঘুবীর সিং কুড়ুল দিয়ে তার গলা নামিয়ে দেয়। জানিয়েছে আদালত।
মানব জীবন ঈশ্বরের এক অপূর্ব দান। প্রত্যেক মানুষের বেঁচে থাকার সমানাধিকার রয়েছে। ঈশ্বর জীবন দান করেছেন। সেই প্রাণ ফিরিয়ে নেওয়ার অধিকার একমাত্র ঈশ্বরের। যদি কেউ অন্যের জীবন কেড়ে নেয়, তারও বেঁচে থাকার অধিকার থাকে না। সেই খুনির জন্য সমাজের কোনও মায়া জাগে না, সে যেই হোক। যে কাজ সে করেছে, সেটাই তার প্রাপ্য।
এক্ষেত্রে সম্পত্তির লোভে অভিযুক্তরা নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। তাই তাদের মৃত্যুদণ্ড দান একমাত্র সমাধান। অভিমত আদালতের।
দেখুন অন্য খবর: