নয়াদিল্লি: রাত পোহালেই দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন (Delhi Election 2025)। রাজ্য তো বটেই গোটা দেশের আকর্ষণ রাজধানীর দিকে। দিল্লি (Delhi) দখলের লড়াইয়ে ময়দানে নেমেছে আপ (AAP) ,বিজেপি (Bjp) ও কংগ্রেস (Congress)। এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে বিএসপি, এনসিপি সহ অন্যান্য দলও। জোরদার নির্বাচনী প্রচারের পর এবার ভাগ্য গণনার পালা।
নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) নির্দেশিকা মেনে সোমবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ শেষ হয় ভোটের প্রচার। ৫ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ দিল্লিতে। ফল ঘোষণা ৮ ফেব্রুয়ারি। ওই দিনই বোঝা যাবে কার ভাগ্যে শিকে ছিঁড়ল। এই কয়েকদিনে আপ, বিজেপি আর কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে ম্যারাথন প্রচার চালিয়েছে। কেউ কাউকে একটুকরো জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি নয়।
আরও পড়ুন: ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ কটাক্ষে, ‘চাপের কৌশল ব্যবহার হচ্ছে’ কেজরিকে পাল্টা জবাব কমিশনের
বুধবার ৭০টি আসনে ভোট হবে। মোট ১৩ হাজার ৭৬৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। ওইদিন এক কোটি ৫৬ লক্ষ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ৮৫ লক্ষ ৭৬ হাজার পুরুষ, ৭২ লক্ষ ৩৬ হাজার মহিলা এবং ১,২৬৭ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার। নিরাপত্তায় মোতায়েন করা ২২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়াও সাড়ে ৩৫ হাজারের বেশি দিল্লি পুলিশ এবং ১৯ হাজার হোমগার্ড মোতায়েন থাকবে বিভিন্ন বুথে।
বিজেপির হয়ে প্রচারে নেমেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের মতো হেভিওয়েট নেতারা। দিল্লিজুড়ে মোট ২২টি রোড শোয়ের আয়োজন করে পদ্মশিবির। অপরদিকে কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করেন লোকসভার বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী ও সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের মতো নেতারা।
আম আদমি পার্টির হয়ে প্রচারে ছিলেন দলের সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং মুখ্যমন্ত্রী আতিশীর মতো নেতা-নেত্রীরা। এবার প্রতিশ্রুতি সর্বস্ব প্রচার ছিল বলা যায় দিল্লি ভোটের এজেন্ডা। সব পক্ষই ক্ষমতায় এলে দিল্লির মানুষকে স্বাস্থ্য, বার্ধক্য, মহিলাভাতা সব রকম অনুদান দিতে প্রস্তুত।
অপরদিকে কেজরিওয়ালের মন্তব্য ‘যমুনায় বিষ মেশাচ্ছে হরিয়ানা সরকার’ এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্কে ঝড় ওঠে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আসরে নেমে কেজরিকে দুর্নীতিবাজ বলে কটাক্ষ করে তাঁকে চালর্স শোভরাজের সঙ্গে তুলনা করেন। অপরদিকে কেজরির জবাব, এই জল দিল্লির মানুষকে তিনি পান করতে দিতে পারেন না। এই কটাক্ষে মোদির জবাব, ‘ওই জল প্রধানমন্ত্রী, নেতা মন্ত্রী, আমলা বিচারপতি সবাই খেয়ে থাকেন? হরিয়ানার মানুষের আত্মীয় স্বজন দিল্লিতে থাকে। কেউ কেনো দিল্লি জলে বিষ মিশিয়ে মানুষকে মারতে চাইবে?
অপরদিকে প্রচারে কোমর বেঁধে নামেন রাহুল গান্ধী। তিনিও আপ সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, পাঁচ বছরের মধ্যে যমুনা পরিস্রুত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেই সমস্ত কোথায় গেল?
মোদিকেও একহাত নিয়ে রাহুল বলেন,মানুষ যেমন নাথুরাম গডসেকে মনে রাখেনি, তেমনি নরেন্দ্র মোদিকেও মনে রাখবে না।
দেখুন অন্য খবর: