নয়াদিল্লি: ভারী বৃষ্টিতে ওল্ড দিল্লিতে কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে তি আইএএস পড়ুয়ার মৃত্যুর (3 IAS Aspirant Die) ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আগেই ওই সেন্টারের মালিক এবং কোঅর্ডিনেটরকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ঘটনার পর দিল্লি জুড়ে অবৈধ কোচিং সেন্টারের (Illegal coaching center) বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে দিল্লি পুরসভা। সোমবার দিল্লির ওল্ড রাজিন্দর নগরে রাস্তার পাশে গজিয়ে ওঠা বেআইনি নির্মাণ বুল়োডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন। অন্যদিকে কোচিং সেন্টারে জলে ডুবে মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে দিল্লি। রবিবারের পর সোমবারও বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। বিক্ষোভে নেমেছে বিজেপিও। সেই বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে সোমবার জলকামান চালায় পুলিশ। পড়ুয়াদের এই মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে দিল্লির আপ সরকার। দিল্লির বিজেপি আপ সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।
শনিবার লাগাতার ভারী বৃষ্টির সময় এই কোচিং সেন্টারের ভিতরে হঠাৎ ঢুকতে শুরু করে জল। সেই সময় ওই কোচিং সেন্টারের লাইব্রেরিতে ছিলেন বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। বেসমেন্ট এতটাই জল ভরে গিয়েছিল যে তাতে ডুবে তিন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। যেখানে এত ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছেন, সেখানে বেরনোর জন্য কোনও ইমার্জেন্সি ব্যবস্থা কেন ছিল না? কীভাবে বেসমেন্টটিকে অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল? উঠছে নানা প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যসভায় কী বললেন তৃণমূল সাংসদ?
দিল্লির রাজেন্দ্র নগরের কোচিং সেন্টারে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় দায় কার, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তুঙ্গে উঠেছে আপ-বিজেপি তরজা। পড়ুয়াদের এমন মর্মান্তিক পরিণতির জন্য গোটা ব্যবস্থাকেই দায়ী করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতার কথায়, পরিকাঠামোর এমন ধস আসলে সিস্টেমের ব্যর্থতা।
এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। রাজেন্দ্র নগরের ১৩টি বেআইনি কোচিং সেন্টারও বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন।বেআইনিভাবে বেসমেন্ট ব্যবহারের অভিযোগ তুলে বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই বেসমেন্টগুলি।
সূত্রের খবর, ওই বেসমেন্টে কোনও রকম ব্যবসায়িক কাজের অনুমতি ছিল না। নিকাশির গেটও খোলা ছিল না। এমসিডির এক আধিকারিক বলেন, এই ঘটনায় ওই বেসমেন্ট মালিকের গাফিলতি প্রকাশ্যে এসেছে। যদি নিকাশি গেট খোলা থাকত তাহলে ওই পড়ুয়ারা বেঁচে যেতে পারতেন।
অন্য খবর দেখুন