নদীয়া: ওদের দিন কাটে ফুটপাতে। রাস্তার পাশে এক চিলতে জায়গা খুঁজে সেখানেই দিন রাত বয়ে যায়। পথের ধুলো বালি ওদের প্রতি মুহূর্তের শ্বাস প্রশ্বাসের সাক্ষী। মলিন জামা কাপড় ওদের রোজনামচা। কখনও সময়ে খাবার জোটে কখনও তাও হয় না। পুজোয় সবাই যখন নতুন জামা কাপড় পড়ে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরে। ওরা শুধুই ফ্যলফ্যাল করে চেয়ে থাকে। ওই সব পথ শিশু কলকাতার যিশুদের জন্য মন কি কাঁদে কখনও? ঠিক ওদের জন্য বেশ কিছু উদ্যোক্তা নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। কেউ দিয়েছেন বস্ত্র। কেউ মণ্ডপে ঠাকুর দেখানোর ব্যবস্থা করেছেন। এবার পুজোয় আলো ও মাইকের খরচ বাঁচিয়ে সেই টাকায় পথ শিশু, দুঃস্থদের (Needy) জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিল নদীয়ার (Nadia) তেহট্টের (Tehatta) একটি পুজো কমিটি (Puja Committee)।
পুজোয় অত্যাধুনিক মাইক ও আলোক সজ্জা বন্ধ রেখে সেই টাকায় এলাকার দুঃস্থদের নতুন বস্ত্র বিতরণ করে নজির গড়ল নদীয়ার তেহট্টের বেতাই শ্রীশ্রী দুর্গা সেবা সঙ্ঘ। বড় পুজো মানেই আনন্দ, আলো ঝলমলে রাত্রী। পুজোর কদিন নতুন পোশাক পরে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরাঘুরি। কিন্তু এই উৎসব থেকেই বঞ্চিত হয় এলাকার কয়েকশো মানুষ। এবার তাদের হাতে নতুন পোশাক তুলে দিলেন পুজোর কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ফুরফুরে আবহাওয়ায় ষষ্ঠীকে বরণ দর্শনার্থীদের
তেহট্টের বেতাই শ্রীশ্রী দূর্গা সেবা সঙ্ঘের পুজো উদ্যোক্তাদের কথায়, আমাদের পুজো এবার ৬০ বছরে পড়ল। এই পুজো উপলক্ষে বিগত দিনে মণ্ডপের সামনে প্রসাদ বিতরণের সময় অচেনা মুখ, জীর্ণ শরীর, আধ ময়লা পোশাক পড়ে কিছু বৃদ্ধ বৃদ্ধার আগমণ ঘটত। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে এঁরা এলাকার বেশ কিছু দুঃস্থ পরিবারের মানুষ। এরপরই কমিটির বৈঠকে স্থির হয় মাইক ও আলোক সজ্জায় যা খরচ হয়, তাতে পরিবেশের লাভের চাইতে ক্ষতি বেশি হয়। সর্বপরি শব্দদূষণ আটকাতে প্রশাসনের চোখ রাঙানি। সেই কথা মাথায় চিন্তা করে অত্যাধুনিক মাইক ও আলোক সজ্জা বন্ধ করে সেই অর্থে কেনা পোশাক দুঃস্থদের তুলে দিল পুজো কমিটি।
আরও খবর দেখুন