শিলিগুড়ি: স্বামী থাকতেও পর পুরুষের সঙ্গে প্রেম, এরপর তার হাত ধরেই বাড়ি ছাড়ে গৃহবধূ। কিন্তু ৮ দিন পর আবার ফিরে আসে সে। ফিরে আসলেও মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে মহিলা ও তাঁর স্বামীকে ডেকে এনে বেধড়ক মারধরের (Beat the woman) অভিযোগ। এলাকার মহিলাদের কটুক্তিতে আত্মঘাতী হন গৃহবধু (Harassment Woman Arbitration)। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ফুলবাড়ি বকরাভিটায়। অপমানে ওই মহিলা আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ। এলাকারই কয়েকজন মহিলার উপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন স্বামী।
বিগত ৮ দিন আগে নিউ জলপাইগুড়ি থানা এলাকার অন্তর্গত বকরাভিটার সবিতা বর্মন নামে এক গৃহবধূ নিখোঁজ হয়েছিলেন। এরপর তার স্বামী তাপস বর্মন গৃহবধূ নিখোঁজ এর ঘটনায় নিউ জলপাইগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু আটদিন পর সেই গৃহবধূ তার স্বামী তাপস বর্মনকে ফোন করে জানান তিনি সমস্যার মধ্যে রয়েছেন এবং তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। এরপরেই তাপস বর্মন তার স্ত্রীকে নিয়ে আসেন এবং শ্বশুর বাড়িতে রাখেন। সেই গৃহবধূ সাগর রায় নামে যে ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল তার বিরুদ্ধে ও তার স্ত্রী শিবানী রায়ের বিরুদ্ধে নিউ জলপাইগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তাপস বাবু। এরপর ২৯ তারিখ নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ সাগর রায় এবং শিবানী রায়কে গ্রেফতার করে জলপাইগুড়ি আদালতে তোলায়।
আরও পড়ুন: দীঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরিতে বিলম্বে ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর
গোটা বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েতের কার্যালয়ে সালিশি সভা বসার কথা ছিল। তবে তার আগেই শনিবার এলাকারই কিছু মহিলারা তাপস বাবুকে এবং তার স্ত্রীকে এলাকায় আসতে বলেন। এরপর তাপস বাবু তার স্ত্রীকে নিয়ে এলাকায় আসলে তাদের দুইজনকেই অশ্লীল কথাবার্তা এবং বেধড়ক মারধর করেন ওই মহিলারা বলেই অভিযোগ তাপস বাবুর। গোটা ঘটনাটি পঞ্চায়েতের সামনে ঘটলেও পঞ্চায়েত কিছুই বলেননি বলেও অভিযোগ করেছেন তাপস। এরপরেই সেই গৃহবধূ সবিতা দেবী অপমান সহ্য করতে না পেরে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হন। আর এই ঘটনার অভিযোগ পেতেই নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ স্বপ্না অধিকারী এবং বোজেন অধিকারী নামে দুজনকে গ্রেফতার করে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠায়।
অন্য খবর দেখুন