ওয়েব ডেস্ক: দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে (Durgapur Incident) মঙ্গলবার গ্রেফতার হলেন নির্যাতিতার সেই সহপাঠী। প্রথম থেকেই এই সহপাঠীর ভূমিকায় নিয়ে সন্দেহ ছিল নির্যাতিতার বাবার। নির্যাতিতা’র সহপাঠী-বন্ধুকে বুধবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। বিচারক সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার তাঁর হয়ে দুর্গাপুর আদালতের কোনও আইনজীবী দাঁড়াননি। পাশাপাশি আগেই ধৃত পাঁচ জনের ডিএনএ পরীক্ষা করিয়ে ফেলেছে পুলিশ।
ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া সহপাঠী ছাত্রের হয়ে সওয়াল করতে নারাজ দুর্গাপুর মহকুমা আদালতের আইনজীবীরা। বুধবার ওই ছাত্রকে আদালতে হাজির করানো হয়। এর আগে ওই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া পাঁচ অভিযুক্তের হয়েও আদালতে সওয়াল করতে চাননি ওই আদালতের আইনজীবীরা। ১০ অক্টোবর রাতে দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। মেডিক্যাল কলেজের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে, ঘটনার দিন রাত ৮টা নাগাদ কলেজের গেট দিয়ে বেরিয়েছিলেন তরুণী। ৯টা নাগাদ ওই সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাসে ঢোকেন।পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার সহপাঠীর বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি মেলে। তার ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশের মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা! প্রকাশ্যে এল আরও তথ্য
শুক্রবার রাতে এই সহপাঠী-বন্ধুর সঙ্গেই ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রী। জিজ্ঞাসাবাদে নির্যাতিতার সহপাঠী জানিয়েছেন, তারা রাতের খাবার খেতে বেরিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, শুরু থেকেই তাঁদের ৩ অজ্ঞাত পরিচয় যুবক পিছু নেয়। ওই ৩ জন পথ আটকে দাঁড়ালে পরিস্থিতি বুঝে পালিয়ে যায় সহপাঠী। তরুণীকে টেনে নিয়ে যায় জঙ্গলে। এরপর আবার সিসিটিভি-তে ধরা পড়ে , রাত ৮টা ৪২ মিনিটে ক্যাম্পাসে একাই ফিরে আসছেন নির্যাতিতার সহপাঠী। এরপর নাকি নির্যাতিতার মোবাইল থেকে ফোন পেয়ে আবার ৮.৪৮ নাগাদ সেই সহপাঠী সেখানে বেরিয়ে যান। এর ঠিক ৪১ মিনিট পর, দেখা যায় ক্যাম্পাসে একসঙ্গে ঢুকছেন নির্যাতিতা এবং তাঁর সহপাঠী।
সেই ঘটনার পরেই শনিবারই তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর রবিবার রাতে এবং সোমবার সকালে বাকি দু’জনকেও গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এই পাঁচ জনেরই ডিএনএ পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। এখন রিপোর্টের অপেক্ষায় তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, বন্ধুকে ওই পরিস্থিতিতে ফেলে রেখে কেন তিনি চলে গিয়েছিলেন? ক্যাম্পাসে গিয়ে কেন কাউকে ঘটনার কথা জানালেন না? পুলিশেই বা খবর দিলেন না কেন? সে নিয়েও প্রশ্ন ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, এসব প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
অন্য খবর দেখুন