কলকাতা: সংবাদমাধ্যম তাঁদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে বলে আদালতে অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjees) স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjees)। তিনি বলেন, সেই মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্যই আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।
সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী। আদালত কেমন করে সংবাদমাধ্যমের কাজে হস্তক্ষেপ করবে, কয়েকদিন আগে সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। রুজিরার আবেদন, তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। নাগরিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম তাঁদের সম্পর্কে এমন সংবাদ পরিবেশন করছে, যাতে পরিবারের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমই সব বিচার করে ফেলছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই রুজিরার স্বামী অভিষেক কালীঘাট থানায় মামলা করেন। সেই আবেদনে সংবাদমাধ্যম, গুগল, এক্স হ্যান্ডেলকে নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়। বুধবার বিচারপতি সেই পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, মামলার আবেদন দেখে মনে হচ্ছে, কালীঘাট থানা যেন গোটা রাজ্যের নিয়ন্ত্রক।
আরও পড়ুন: দিল্লি গেলেন কামদুনির প্রতিবাদীরা
শুক্রবার এই মামলার শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে। রায়দান হবে ১৭ অক্টোবর। রুজিরা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোনও ঘটনার তদন্ত চলাকালীন তার তথ্য প্রকাশ্যে আনা যায় না। কিন্তু নিয়োগ মামলার সূত্রে চলা তদন্তের বহু তথ্যই ইডি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সামনে এনেছে। সেই তথ্য ব্যবহার করে সংবাদমাধ্যম আমার এবং আমার স্বামীর বিরুদ্ধে নানা সংবাদ প্রকাশ করছে। এতে আমাদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।
মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১৫টি সংবাদমাধ্যম এদিন তাদের বক্তব্য পেশ করে। রুজিরার আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, সাংবাদিকরা বিশেষ কোনও সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণি নন। আমার মক্কেলরা সুবিচার পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না বলেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
এদিকে ইডির নোটিস চ্যালেঞ্জ করে এদিন আদালতে গিয়েছেন অভিষেকের আপ্ত সহায়ক সুমিত রায়। ওই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়ে সুমিত বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সোমবার বেলা ১২টায় এই মামলার শুনানি হবে।
আরও অন্য খবর দেখুন