নদিয়া: দোকান উচ্ছেদের নোটিস (Shop Eviction Notice)!সময়সীমা মাত্র ১৫ দিন । দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে শান্তিপুর রেল স্টেশন সংলগ্ন প্রায় ৩০০ দোকানদার পরিবারের। শান্তিপুর রেল স্টেশন (Shantipur Railway Station) সংলগ্ন ৪০ থেকে ৫০ বছর ধরে দোকান চালাচ্ছেন তারা। দোকানের উপর ভরসা করেই চলে তাদের রুজিরুটি। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা থেকে রোজকার খরচ সব কিছুর ভরসা দোকান। উচ্ছেদের নোটিসে দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে পরিবারের।
শান্তিপুর রেল স্টেশনে সেখানে কেউ কেউ দোকানদারি করেন ৪০-৫০ বছর ধরে। যদিও সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষিত অমৃত মহোৎসব প্রকল্পে রেল স্টেশন এবং সংলগ্ন এলাকার উন্নতি সাধনের কথা তারা শুনেছেন। কিন্তু এরপর পুনর্বাসন ছাড়া তাদের উঠেও যেতে হবে তবে এভাবে তারা ভাবেনি। তাও আবার মাত্র পনেরো দিনের সময়সীমার মধ্যে তা কখনো ভাবেননি। সামনেই বিশ্বকর্মা দুর্গাপুজো কালীপুজো জগদ্ধাত্রী রাশ একের পর এক পুজো। পুজোর মরসুমেই বিক্রি বাড়ে। উৎসবে মরসুমে তাঁতের শাড়ির জন্য রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ সময় কাতারে কাতারে মানুষ আসেন সেই প্রতীক্ষায় থাকতে হয় সারা বছর। তার তার আগেই এই বিপর্যয়। আর সেই সময় যদি দোকান গুটিয়ে নিয়ে চলে যেতে হয় তাহলে তো দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়বেই!
আরও পড়ুন: রাজ্যের আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা, বজ্রবিদ্যু-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস
পুনর্বাসন হোক কিংবা স্টেশন সংলগ্ন জায়গার তাদের আপাতত দোকান চালানোর ব্যবস্থা করে দিক দাবি দোকানদারদের। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের সমস্যার কথা শোনার অবকাশ নেই। তারা প্রত্যেকেই জানাচ্ছেন পূর্ব রেলওয়ে ডিভিশন ম্যানেজার একমাত্র এই সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন। দোকানদাররা জানান, এর আগে তাদের মৌখিক নোটিশ দেওয়া হলেও এই প্রথম লিখিত নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে তারা রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমস্ত বিষয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন এবং রেলের উন্নয়নে তারা বাধা নয় এটাও প্রমাণ করতে প্রস্তুত কিন্তু রুজি রুটির ব্যবস্থা বন্ধ করে নয়, তাই জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপের প্রতীক্ষায় রয়েছেন তারা।
অন্য খবর দেখুন