Tuesday, July 1, 2025
HomeScrollপুলিশের জালে বেলঘরিয়া শুটআউট-কাণ্ডের 'মাস্টারমাইন্ড'!
Belgharia Shootout

পুলিশের জালে বেলঘরিয়া শুটআউট-কাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’!

গা ঢাকা দিয়েও শেষ রক্ষা হল না

Follow Us :

কলকাতা: সাতদিনের লুকোচুরি শেষেও পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেল না ইন্দল যাদব (Indal Yadav)। শুক্রবার সকালে আসানসোলের গোপন ডেরা থেকে তাকে পাকড়াও করা হয়। ধৃতকে (accused) এদিনই বেলঘরিয়া থানায় (Belgharia Police Station) নিয়ে আসা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারির আগে সেu একাধিকবার অবস্থান বদল করেছিল।

গত সাতদিন ধরে পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি চলছিল শুটআউট-কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ইন্দলের। এমনকি তার খোঁজে পুলিশের একটি দল বিহারেও যায়। কিন্তু আগেভাগেই খবর পেয়ে ইন্দল সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পারে, আসানসোলে গোপন ডেরায় (safe house) লুকিয়ে রয়েছে সে। বেলঘরিয়া থানার পুলিশ তখনই সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

আরও পড়ুন: রাজভবনে সাড়ম্বরে পালন হল দোল উৎসব

প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাতে বেলঘরিয়ার উত্তর বাসুদেবপুরে তৃণমূল নেতা বিকাশ সিং (Bikash Singh) কে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় ইন্দল যাদব ও তার দলবল। গুলি তার বুকে ও পেটে লাগে, যদিও বরাতজোরে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে আহত হন আগরপাড়ার বাসিন্দা সন্তু দাস (Santu Das) ও কয়েকজন পথচারী। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হয় বিরোধীরা।

তদন্ত শুরু হতেই পুলিশের হাতে উঠে আসে নতুন তথ্য। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া বাইকের সূত্র ধরে ভিকি যাদব নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, ভিকির জন্মদিনের পার্টিতে বসেই বিকাশ সিংকে খুনের ছক কষা হয়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, তারা ভিকির বাইক ব্যবহার করে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং হামলা চালায়।

তদন্তে আরও উঠে এসেছে, টেক্সম্যাকো কারখানার স্ক্র্যাপ বরাত নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ইন্দল ও বিকাশের মধ্যে বিবাদ চলছিল। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। এর সঙ্গেই যুক্ত হয় ব্যক্তিগত শত্রুতা ও ত্রিকোণ প্রেমের জটিলতা। সবকিছু মিলিয়েই বিকাশকে পৃথিবী থেকে সরানোর ছক কষে ইন্দল ও তার দলবল। তবে প্রাণঘাতী হামলা সত্ত্বেও আশ্চর্যজনকভাবে প্রাণে বেঁচে যান বিকাশ সিং।

দেখুন আরও খবর: 

RELATED ARTICLES

Most Popular


Deprecated: Automatic conversion of false to array is deprecated in /var/www/ktv/wp-content/themes/techinfer-child/functions.php on line 39