আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কালচিনি (Kalchini) ব্লকে ফের বুনো হাতির তাণ্ডব (Elephant Attack)। ধান এখনও পুরোপুরি পাকেনি, তবুও বাধ্য হয়ে কাঁচা ফসল কাটছেন কৃষকরা। সন্ধ্যা নামলেই গ্রামাঞ্চলে ঢুকে পড়ছে হাতির দল, মুহূর্তে নষ্ট করে দিচ্ছে বিঘের পর বিঘে ধান। সাতালি নাকাডালা, দক্ষিণ লতাবাড়ি, পূর্ব সাঁতালি, এলাকায় এখন আতঙ্কের অন্য নাম ‘হাতি’ (District news)।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, একদিকে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান, অন্যদিকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প। দুই অরণ্যের মাঝেই হওয়ায় প্রতি বছরই হাতির আনাগোনা থাকে। তবে এবার অভিযোগ, আগের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যায় হাতির দল গ্রামে ঢুকছে এবং ধান পাকার আগেই তাণ্ডব চালাচ্ছে। প্রতিদিন ভোর ও সন্ধ্যায় মাঠজুড়ে দেখা যাচ্ছে চেপ্টা হয়ে থাকা ধানের গাছ আর ধ্বংসস্তূপের ছবি।
আরও পড়ুন: নলহাটি গুলিকাণ্ডে নয়া মোড়, চাঞ্চল্যকর দাবি মৃতার স্বামীর
সাতালি নাকাডালার কৃষক বন্ধন কুজুর বলেন, “ছয় বিঘায় ধান চাষ করেছিলাম। অর্ধেকের বেশি ধান হাতি নষ্ট করে দিয়েছে। আর অপেক্ষা করলে বাকিটাও যাবে। তাই কাঁচা ধান কাটছি।” রাত জেগে পাহারা দিয়েও কিছু ঠেকানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ।
গ্রামবাসীদের দাবি, গত বছরও একই পরিস্থিতি হয়েছিল। ক্ষতিপূরণের আবেদন করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা পাননি কৃষকেরা। সার, সেচ, বীজ সবই ধার করে চাষ; অথচ ফসল ওঠার আগেই হাতির পেটে যাচ্ছে পরিশ্রমের ফসল। ফলে আর্থিক সংকটে পড়ছেন বহু কৃষক পরিবার।
স্থানীয়দের মতে, পরিস্থিতি সামাল দিতে বনদফতরের অবিলম্বে বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন। নইলে কৃষিকাজই বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এই কৃষিপ্রধান অঞ্চলে।
দেখুন আরও খবর:







