বীরভূম: ফের বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার (Explosives Recovered) বীরভূমে। নলহাটি (Birbhum Nalhati) থানার অন্তর্গত চন্দননগর গ্রামের একটি পাথর খাদানে এই বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ১০০ পেটিরও বেশি ডিটোনেটার (Detonator), জিলেটিন স্টিক (Gelatin Stick) এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার। বম্ব ডিপোজাল স্কোয়াড (Bomb Disposal Squad) টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। নাশকতার কোন ছকে কি বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কত পরিমাণে বিস্ফোরক মজুত রয়েছে তা খতিয়ে দেখার পর জানাবে পুলিশ। বিরোধীদের অভিযোগ বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে বীরভূম। এএনআই তদন্ত চায় বিজেপি।
আরও পড়ুন: সীমান্তে বিএসএফের তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ, খোঁজ নেই যুবকের
গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে বীরভূমের নলহাটির চন্দনপুরে একটি পরিত্যক্ত পাথর খাদানে হানা দেয় পুলিশ। রামপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, নলহাটির ওসির নেতৃত্বে পুলিশবাহিনীর তল্লাশিতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। ওই পরিত্যক্ত খাদান থেকে ১৫০ পেটি জিলেটিন স্টিক, ৬ পেটি ডিটোনেটর, ১৪ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বাজেয়াপ্ত করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই পাথর খাদানটি কলিন হাঁসদার। তিনি মারা গিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে পাথর খাদানটি। নলহাটি থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বীরভূম জেলা পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণের প্রতিনিধি দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক ঘিরে রেখেছে নলহাটি থানার পুলিশ।
বীরভূমের মহম্মদ বাজারে বিস্ফোরক ভর্তি গাড়ি আটক করেছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। পরবর্তীকালে ঘটনার এই তদন্তভার হাতে নেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA. অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারই মাঝে আবারও বীরভূমে বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিস্ফোরক উদ্ধারে চাঞ্চল্যকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
আরও অন্য খবর দেখুন