কলকাতা ও নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের (Giriraj Singh ) মন্তব্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবারও বিক্ষোভে উত্তাল হল রাজ্য বিধানসভা। সেই উত্তাপ ছড়াল সংসদেও। বিধানসভার বাইরেও নানা জায়গায় শাসকদল এদিন বিক্ষোভ দেখায়, মিছিল, মিটিং করে। ওই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অপমানজনক মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ারও দাবি ওঠে।
সোমবার কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উতসবের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী সলমন খান, অনিল কাপুরদের মতো বলিউডের তারকাদের নাচের সঙ্গে পা মিলিয়েছিলেন। সেই ঘটনার কথা তুলেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ বুধবার সংসদ চত্বরে কোমর দুলিয়ে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নাচলেন, ঠিক আছে। কিন্তু ঠুমকে লাগানোর (কোমর দোলানো) দরকার কী ছিল। তারপরই তৃণমূল সংসদে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। রাজ্য বিধানসভাতেও শাসকদলের বিধায়করা ক্ষোভ জানান। বিশেষ করে মহিলা বিধায়করা তীব্র ভাষায় গিরিরাজের নিন্দা করেন। তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ভরে যায় গিরিরাজবিরোধী নানা পোস্টে।
আরও পড়ুন: মহুয়া কি কালই ‘বহিষ্কৃত’ হবেন, বিজেপির ছক কী?
বৃহস্পতিবার সংসদের বাইরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে গিরিরাজের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের মহিলা সাংসদরা। রাজ্য বিধানসভায় মুখ খোলেন শাসকদলের মহিলা বিধায়করা। শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে ভাষায় অপমান করেছেন, তার নিন্দার ভাষা নেই। তিনি অপমানজনক এবং লিঙ্গবৈষম্যমূলক মন্তব্য করেছেন। বিজেপি পরিষ্কার করে বলুক, তারা মন্ত্রীর এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইছেন কি না। নাকি তাঁরা মন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করছেন।
এদিন কলকাতার হাজরা মোড়ে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস বিক্ষোভ দেখায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শশী পাঁজা, রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ তাবড় মহিলা নেতৃত্ব, ছিলেন অনেক মহিলা বিধায়কও। চাপে পড়ে গিরিরাজ অবশ্য বুধবার বিকেলেই দাবি করেন, তিনি ঠুমকে লাগানোর কথা বলেননি। তিনি জশন হচ্ছে বলে অনুযোগ করেন। মন্ত্রীর আরও দাবি, তাঁর মন্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
আরও অন্য খবর দেখুন