নয়াদিল্লি: বাংলাদেশে (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) উপহার দেওয়া সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী মন্দিরে দেবী কালীর মুকুট চুরি হয়ে গেল। রৌপ্য, সোনার মুকুটটি বৃহস্পতিবার বিকেলে চুরি হয়। মন্দিরের পুরোহিত দিনের পুজো শেষে চলে যাওয়ার পরপরই ওই ঘটনা ঘটে। সাফাই কর্মীরা পরে আবিষ্কার করেন, দেবতার মাথায় মুকুটটি নেই। প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর বাংলাদেশ সফরের সময় ২০২১ সালের মার্চ মাসে যশোরেশ্বরী মন্দিরে মুকুটটি স্থাপন করেছিলেন।
নরেন্দ্র মোদি ২০২১ সালে যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে প্রার্থনা করছেন। মন্দিরের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা জ্যোতিষ চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন মুকুটটি রূপার তৈরি এবং সোনার প্রলেপ দেওয়া হয়েছিল। চুরি যাওয়া মুকুটটি ভক্তদের জন্য সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে। হিন্দু পুরাণে, যশোরেশ্বরী মন্দিরটি ভারত এবং প্রতিবেশী দেশগুলিতে ছড়িয়ে থাকা ৫১টি শক্তিপীঠগুলির মধ্যে একটি হিসাবে সম্মানিত।
আরও পড়ুন: পঞ্চভূতে বিলীন হলেন রতন টাটা
ভারত চুরির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এবং বাংলাদেশকে বিষয়টি তদন্ত করে চুরি হওয়া মুকুট উদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছে। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং বাংলাদেশ সরকারকে চুরির তদন্ত, মুকুট পুনরুদ্ধার এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
সাতক্ষীরার ঈশ্বরীপুরে অবস্থিত মন্দিরটি দ্বাদশ শতাব্দীর শেষার্ধে এক ব্রাহ্মণ দ্বারা নির্মিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। তিনি যশোরেশ্বরী পীঠের জন্য ১০০টি দরজা দিয়ে মন্দিরটি নির্মাণ করেন। এটি পরে ১৩ শতকে লক্ষ্মণ সেন দ্বারা সংস্কার করা হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত, রাজা প্রতাপাদিত্য ১৬ শতকে মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন ভারত মন্দিরে একটি বহুমুখী কমিউনিটি হল তৈরি করবে। এটি স্থানীয় জনগণের জন্য সামাজিক, ধর্মীয় এবং শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের জন্য উপযোগী হওয়া উচিত এবং ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুর্যোগের সময় এটি সবার জন্য আশ্রয়স্থল হিসাবে কাজ করবে।
আরও খবর দেখুন