লখনউ: কুম্ভমেলাকে (Maha Kumbh 2025) নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে বিপদ এড়াতে পারলেন না উত্তরপ্রদেশের (uttarpradesh) যোগী সরকার (yogi Government)। অগ্নিকাণ্ড থেকে পদপিষ্টের ঘটনায় মানুষের মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
সেইসঙ্গে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার চিত্র সামনে ধরা পড়েছে। এই অবস্থায় যারা বিভিন্ন জায়গা মহাকুম্ভে আসা পুণ্যার্থীরা চরম বিপদে পড়েছে। রাস্তায় খাওয়া থেকে কোনরকমে রাস্তাতেই দিন গুজরান করতে হচ্ছে। তবে উত্তরপ্রদেশে ধরা পড়ল সম্প্রীতির ছবি।
পুণ্যার্থীদের (Devotees) পাশে দাঁড়ালেন স্থানীয় সংখ্যালঘুরা (Minorities) । পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পরে ইলাহাবাদে তীব্র যানজটে আটকে পড়েন বহু পুণ্যার্থী। ভিড়ে অনেকে সেই যানযটে চাপতে পারেননি। তাদের জন্য মসজিদ, মাদ্রাসা, এমনকি নিজের বাড়ির দরজা পর্যন্ত খুলে দিয়েছেন স্থানীয় মুসলিমরা। সেই সঙ্গে খাবার থেকে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি পুণ্যার্থীদের জন্য কম্বলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Narendra Modi: ধর্মে মনোনিবেশ কেন্দ্রের, বন্ধ বিজ্ঞানের প্রসার
গত ২৯ জানুয়ারি কুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০ জন পুণ্যার্থীর। আহত হয়েছেন বহু। তার পরেই চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে বাস এমনকি গাড়িও। একচুলও নড়ছে না। প্রায় গাড়ির মধ্যেই ঘন্টার পর ঘণ্টা, কয়েকদিন একই জায়গায় কাটিয়ে দিতে হচ্ছে তাদের। অনেকে না খেয়েই পড়ে রয়েছেন। এই নিয়ে সোশ্যাল মাধ্যমে বহু ভিডিয়ো শেয়ার হয়েছে।
ঠান্ডায় গাড়িতে বসে অসুস্থ হয়ে পড়েন বহু পুণ্যার্থী। তবে এই সময় হাতে হাত দিয়ে বসে থাকেননি নাখাস কোহনা, রোশন বাগ, হিম্মতগঞ্জ, খুলদাবাদ, রানিমণ্ডির সংখ্যালঘু বাসিন্দারা। রাতে খুলে দেন খুলদাবাদ সব্জি মণ্ডি মসজিদ, বড় তাজিয়া ইমামবাড়া, চৌক মসজিদের দরজা। সেখানে আশ্রয় নেন বহু মানুষ। তাঁদের চা, গরম খাবার পরিবেশন করা হয়।
স্থানীয় মুসলিমরা জানিয়েছেন, বিপদের সময় কেউ হিন্দু-মুসলিম নয়, সবাই মানুষ। বাড়ির মহিলারা পুণ্যার্থীদের জন্য খাওয়ার তৈরি করতে শুরু করেন। শিশুরা আটকে পড়া পুণ্যার্থীদের পথ দেখিয়ে নিয়ে আসেন স্থানীয় মসজিদ, মাদ্রাসায়।
মুসলিম এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের বলা হয়েছিল, কুম্ভে আসা যাবে না। কিন্তু বিপদের সময় ঘরে বসে থাকতে পারিনি, ছুটে এসেছি।
দেখুন অন্য খবর: