করোনায় ধুঁকছে সমস্ত প্রেক্ষাগৃহ। সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে হল মালিকরা পরপর দু’বছর বহুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে প্রেক্ষাগৃহ। নাভিশ্বাস উঠেছে তাদের। বেশিরভাগ হল বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে তৈরি হচ্ছে বহুতল বাড়ি অথবা শপিং কমপ্লেক্স। মাল্টিপ্লেক্সার থেকে বেশি খারাপ অবস্থা সিঙ্গেলস স্ক্রীনগুলোর।
শিয়ালদহের ‘প্রাচী’ সিনেমা হল বহু বছরের বাঙালির কাছে নস্টালজিয়া। বাঙালি দর্শকদের সঙ্গে বহু বছরের সুখ দুঃখে জড়িয়ে আছে এই সিনেমা হল। সাধারণ মানুষ এই হল-কে বিনোদনের মন্দির মনে করত। এবার সে হল নতুন রূপে আসতে চলেছে সে। সিনেমা হল প্রাঙ্গণে রিটেইল আউটলেট তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ‘প্রাচী’ সিনেমা কর্ণধার বিদিশা বসু। প্রাচী সিনেমা প্রাঙ্গণেই তৈরি হচ্ছে জামা কাপড়ের আউটলেট। হল কর্তৃপক্ষ ঐতিহ্যশালী ‘প্রাচী’ বিক্রি করে দিতে রাজি নয়। তাই নিজেরাই উদ্যোগ নিয়েছেন এই হল কে রিমডেলিং করার। একতলা পুরোটাই ও দোতলা কিছুটা অংশ জুড়ে হচ্ছে শোরুম। কাজেই স্বাভাবিক কারণেই আসনসংখ্যা তুলনায় কিছুটা কমে যাবে। বিদিশা ধারণা এর ফলে বেঁচে যাবে ঐতিহ্যশালী ‘প্রাচী’ সিনেমা হল।
১৯৪৮ সালে জিতেন্দ্রনাথ বসুরহাট ধরে শুরু হয়েছিল এই প্রাচী। আগে সুযোগ বাংলা ছবি প্রদর্শিত হতো এই হলে। সময়ের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্য পরবর্তীকালে হিন্দি ও ইংরেজি ছবি দেখানো হতো। এখন থ্রিডি ছবি দেখানোর উপযোগী করে তোলা হচ্ছে এই হলকে। ইতিমধ্যেই রিমডেলিং এর কাজ শুরু হয়ে গেছে। করোনার প্রভাব একটু কমলে নতুন রূপে দর্শকদের কাছে আসবে পুরনো ঐতিহ্যের স্পর্শ নিয়ে আধুনিক প্রাচী। বিদিশার কথায়,’ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মেলবন্ধনে তৈরি হচ্ছে নতুন প্রাচী’।
এখন দেখার নতুন আঙ্গিকে পুরনো ‘প্রাচী’ মানুষের মনে কতটা ধরে।