ওয়েব ডেস্ক: কাতারের (Qatar) আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানির মধ্যস্থতার পাশাপাশি আমেরিকা (USA) ও মিশরের (Egypt) সহযোগিতায় বুধবার রাতে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইজরায়েল (Israel) ও হামাস (Hamas)। প্যালেস্তাইনের (Palestine) সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস সমস্ত ইজরায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য যুদ্ধবিরতির (Cease Fire) শর্ত মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। নেতানিয়াহুর (Benjamin Netanyahu) কার্যালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের জন্য শুক্রবার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকা হয়েছে। পণবন্দিদের পরিবারকেও সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে তেল আভিভের সব শর্তে এখনও সায় দেয়নি হামাস।
বৃহস্পতিবার রাতে এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার সকালে নেতানিয়াহুর দফতর জানায়, হামাস চুক্তির সব শর্ত পুরোপুরি মেনে নেয়নি এবং অতিরিক্ত সুবিধা দাবি করছে। এতে চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে হামাস নেতা সামি আবু জুহরি এই দাবি অস্বীকার করে বলেন, “নেতানিয়াহুর বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। হামাস সংঘর্ষ বিরতির চুক্তি মেনে চলবে।”
আরও পড়ুন: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ বিরতি কি রবিবার থেকে?
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা (Gaza) থেকে ইজরায়েল ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে বহু ইজরায়েলি নাগরিককে পণবন্দি করে হামাস। এরপর থেকেই গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েলি সেনার পাল্টা হামলায় ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়। গত ১৬ মাসে ইজরায়েলি হামলায় প্রায় ৫৩ হাজার প্যালেস্তাইনি নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, ৭ অক্টোবর ও পরবর্তী সময়ে হামাসের আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় দু’হাজার ইজরায়েলি। তবে শেষমেশ যুদ্ধে ইতি টানতে রাজি হয়েছে দু’পক্ষই। কাতারের রাজধানী দোহায় ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর পর হামাস জানিয়েছে, তাঁরা পর্যায়ক্রমে সব পণবন্দিকে মুক্তি দেবে।
দেখুন আরও খবর: