ওয়েব ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) সস্ত্রীক কারাদণ্ড। জমি দুর্নীতি (Land Corruption) মামলায় ১৪ বছরের জেল হল। তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিরও (Bushra Biwi) সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। দুজনকে আর্থিক জরিমানাও (Fine) করা হয়েছে। এআই কাদির ইউনিভার্সিটি প্রজেক্ট ট্রাস্ট মামলায় পাকিস্তানের দুর্নীতি বিরোধী আদালতের বিচারক জাভেদ নাসির রানা শুক্রবার এই রায় দিয়েছেন। দুহাজার কোটি টাকার বেশি (১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড) দুর্নীতির অভিযোগ। ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো মামলা দায়ের করেছিল। ইমরান খান এই রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। এটা চতুর্থ ঘটনা, যাতে ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করা হল।
পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মামলা দায়ের করেছিল। ইমরান খান, তাঁর স্ত্রী ও আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। তবে ওই ঘটনায় শুধুমাত্র ইমরান ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধেই সাজা ঘোষণা হয়েছে শুক্রবার। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমি ও টাকা হস্তান্তরের অভিযোগ দম্পতির বিরুদ্ধে। এক প্রোমোটার তাঁদেরকে জমি উপহার দিয়েছিল বলে অভিযোগ। তার পরিবর্তে অন্যায় সুবিধা নিয়েছিল। সরকারি কোষাগারের লাভের পরিবর্তে ব্যক্তিগত সুবিধা ভোগ করেন তাঁরা। ওই টাকায় ঝিলমে আল কাদির বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন: সব শর্তে সায় নেই হামাসের! যুদ্ধবিরতি নিয়ে বড় মন্তব্য নেতানিয়াহুর
এর আগেও ইমরানের বিরুদ্ধে প্রচুর মামলা হয়েছে। তবে তার মধ্যে বিতর্কিত তোষাখানা মামলায় ছাড় পান তিনি। এই আল কাদির ট্রাস্ট মামলাতেই প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন ইমরান খান। যে ঘটনায় ইমরানের সমর্থকরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। ২০২৩ সালের অগাস্ট থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে জেলবন্দি রয়েছেন ইমরান।
দেখুন অন্য খবর: