কলকাতা: এবার আরও একটি দেশে হামলা চালাল ইজরায়েল (Israel)। ইয়েমেনের (Yemen) রাজধানী সানায় বিমানবন্দরে বিমান হামলা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশের। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও অন্যান্য টার্গেটে হামলা হয়। হুথি বিদ্রোহীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে একাধিক জায়গায়। ঘটনায় ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। সেসময় সানায় বিমানবন্দরে ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) প্রধান টেডরস আধানম গেব্রেয়েসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) । হু প্রধান নিজেই সোশ্যাল মিডিয়াতে (Social Media) জানিয়েছেন, ওই হামলার সময় তিনি সেখানে ছিলেন। হু-এর প্রধান বলেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘের আটক কর্মীর মুক্তির জন্য সেখানে তিনি ছিলেন। তিনি ও তাঁর টিমের সদস্যরা বিমানের উড়ান ধরতে যাওয়ার সময় ওই হামলার ঘটনা ঘটে। বিমানের একজন ক্রু সদস্য ঘটনায় আহত হয়েছেন। এই বিষয়ে ইজরায়েলের সেনার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই হামলা হয়েছে।
ওই হামলার জন্য টার্গেট করা হয়েছিল বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের এলাকায় থাকা বিমানবন্দর, সামরিক ঘাঁটি, বিদ্যুৎ কেন্দ্র। সম্প্রতি ইজরায়েলে ‘প্যালেস্তাইন টু’ নামে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, তাদের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত হামলা থামবে না। একটি ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, ইরানের মদতপুষ্ট এই সন্ত্রাসীদের নির্মূল করব।
আরও পড়ুন: কাজাখস্তানে বিমান ভেঙে পড়া নিয়ে বাড়ছে রহস্য
এই বিষয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস বলেন, সানা বিমানবন্দের হামলা বিশেষভাবে সতর্ক হওয়ার ঘটনা। বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা দেশের রাজধানীর এয়ারপোর্টে ছটি হামলা হয়েছে। হামলার জন্য সংলগ্ন আলদাইমির এয়ারবেসকেও টার্গেট করা হয়। ইরানের বিদেশমন্ত্রক এই হামলার নিন্দে করেছে। এই হামলাকে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকেও বিঘ্ন করছে। উল্লেখ্য, এর আগেও ইজরায়েল ইয়েমেনে হুথিদের উপর হামলা করেছে। হুথিও ইজরায়েলে ড্রোন হামলা করেছে। জুলাই মাসে হুথিদের হামলায় ইজরায়েলের এক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। গাজায় ইজরায়েল হামাসে উপর হামলা করার পর থেকেই ইরানের সমর্থনপুষ্ট হুথি বিদ্রোহীরা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে মুখর হয়। লোহিত সাগরে টার্গেট করা হয় ইজরায়েলের জাহাজ।
দেখুন অন্য খবর: