নয়াদিল্লি: আমার বাড়ির অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আসার মধ্যে কোনও ভুল নেই, এমনটাই অভিমত পোষণ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের (supreme court) প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (Chief Justice DY Chandrachud)।
১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর নিচ্ছেন চন্দ্রচূড়। সেই উপলক্ষে একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের আহ্বানে একটি আলোচনা চক্রে যোগ দেন তিনি।
প্রধান বিচারপতির সামনে বিতর্কিত দুটি প্রশ্ন রাখা হয়। ১. তাঁর বাড়িতে গণেশ পুজো উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও যোগদান। ২. অযোধ্যা বাবরি মসজিদ বিতর্কের সুষ্ঠু সমাধানে তিনি দেবতার কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। তাঁর এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা কি?
আরও পড়ুন:সব ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সম্পত্তি রাজ্য অধিগ্রহণ করতে পারে না: সুপ্রিম কোর্ট
প্রধান বিচারপতি জানান, আমি আগেও একটি অনুষ্ঠানে বলেছি যে, প্রশাসনিক ও বিচারবিভাগীয় প্রধানদের মধ্যে প্রশাসনিক স্বার্থেই নিয়মিত যোগাযোগ, আলাপ আলোচনা হয়। তার অর্থ এই নয় যে, তার প্রভাব পড়বে কোনও রায়দানে।
প্রশাসন ও বিচার বিভাগ দুটি স্বতন্ত্র ক্ষমতার। কেন্দ্র থাকার অর্থ এই নয় যে, তারা পরস্পর বিরোধী, তাদের মধ্যে কোনও আলাপ আলোচনা করা যাবে না।
উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতির আরও বক্তব্য, বিচার বিভাগীয় নানা প্রশাসনিক প্রয়োজনে ও বাজেট সংক্রান্ত রীতিনীতি ঠিক করার জন্য মন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতিকে হামেশাই আলাপ আলোচনা করতে হয়।
প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে যে সংকট দেখা দেয়, সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রখ্যাত আইনজীবী ফলি এস নরিম্যান তখন বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান বিচারপতির কথা বলা উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাই সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা পরিচালনার স্বার্থেই প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত বিচার বিভাগীয় সংযোগ থাকা দরকার। অভিমত প্রধান বিচারপতির।
২৬ জানুয়ারি বা ১৫ আগস্টে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে প্রশাসনিক প্রধানদের নিয়মিত সাক্ষাৎ হয়। এমনকি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণ এবং অবসরের সময়ও তাঁদের সাক্ষাৎ হয়ে থাকে।
দেখুন অন্য খবর: