জলপাইগুড়ি: ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের (Jalpaiguri Physical Harassment) অভিযোগ। জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি এলাকার ঘটনা। অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করে ধূপগুড়ি (Dhupguri) থানায় পুলিশ। ঘটনার পর থেকে আরও এক অভিযুক্ত পলাতক। আরও এক অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতদের ধূপগুড়ি থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ি ব্লকের একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকার এক আদিবাসী মহিলা স্বামী মারা যাওয়ার পর বাড়িতে একাই থাকতেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় এক ব্যক্তি তার বন্ধুদের নিয়ে ওই আদিবাসী মহিলা বাড়িতে যান। মহিলা একা থাকার সুযোগ নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রাণে মারার ভয় দেখিয়ে বাড়ি থেকে তুলে জঙ্গলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সেখানে চার বন্ধু মিলে আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। গণধর্ষণের পর অভিযুক্তরা ওই মহিলাকে হুমকি দেয় যদি এই ঘটনা কাউকে জানানো হয় তবে তাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে।
আরও পড়ুন: জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে আতঙ্কের পারাপার
ওই নির্যাতিতা ধূপগুড়ি থানায় চারজনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের হতেই ধূপগুড়ি থানার পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার তিনজনকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। বাকি একজনের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এ বিষয়ে অখিল ভারতীয় আদিবাসী মুক্তি মোর্চার জয় প্রফুল্ল লাকড়া বলেন, একজন আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সম্পাদক অরূপ দে বলেন, অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তি হওয়া উচিত। এটা অসামাজিক কাজ। মানুষ কখনও এটা মেনে নেবে না। অন্যদিকে, বিজেপি জেলা সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ বলেন, বাংলার নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও অন্য খবর দেখুন