বেঙ্গালুরু: দীর্ঘ জল্পনা কল্পনা শেষে অবশেষে কর্নাটক সরকার (Karnatak Government) অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের (Student) মধ্যে যৌন শিক্ষা (sex education) চালুর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেইসঙ্গে ছোটদের নৈতিক শিক্ষার পাঠও পড়ানো হবে।
নয়া পরিকল্পনায় সপ্তাহে দুদিন হবে যৌন শিক্ষার ক্লাস। সেই পাঠদানে স্থানীয় চিকিৎসক অংশ নেবেন। শিক্ষার্থীরা এই ক্লাসগুলিতে শারীরিক, মানসিক ও হরমোনগত পরিবর্তন, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিচ্ছন্নতা সহ আরও একাধিক বিষয়ে অধ্যয়ন করবে। প্রথম থেকে দশম শ্রেণিরশিক্ষার্থীদের বছরে দুইবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকেরা ও নার্সরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, রোগ প্রতিরোধ সহ নেশা নেশা থেকে দূরে থাকার গাইডলাইন দেবেন। এছাড়াও নয়া নিয়মে স্কুলগুলিতে পরামর্শ সেবা চালু হবে। বহু শিক্ষার্থীরাই নানা ধরনের আচরণগত সমস্যায় ভুগতে থাকে। অনেক সময় সেগুলি ভয়াবহ আকার ধারণ করেন। সেই বিষয় শিক্ষার্থীদের মন বুঝতে সাহায্য করবে এই পরামর্শ সেবা।
আরও পড়ুন: কবে এবং কী কারণে ধ্বংস হবে পৃথিবী? বলে দিলেন নীতীশ কুমার
এছাড়াও সোশ্যাল মাধ্যমে অতিরিক্ত আসক্তি, সেই সমস্যাগুলি মোকাবিলা করতে পাঠ দেবে। কিভাবে কিভাবে তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে, সাইবার হুমকি থেকে দূরে থাকতে পারে সেগুলি শেখানো হবে। শিক্ষার্থীদের আইনি সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পুলিশ কর্মীরা স্কুলে গিয়ে ‘পকসো আইন’ (প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) (Pocso) সম্পর্কে শিক্ষা দেবেন, যাতে তারা নিজেদের অধিকার বোধ সম্পর্কে সচেনত হয়।
ছোটদের জন্য নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে, যা ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত চলবে। সপ্তাহে দু’দিনের এই ক্লাসে সততা, ধৈর্য্য, এবং সম্মানের মতো নৈতিক মূল্যবোধ শেখানো হবে। সরকারের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিত্ব বিকাশ সহ সুনিশ্চিত ভবিষ্যত গড়ে দেওয়া।
২০০৭ সালে এনসিইআরটি যৌবন শিক্ষা কর্মসূচি (Adolescence Education Programme) চালু করার পর থেকে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, রাজস্থান, ছত্তিশগড় এবং গোয়ার মতো একাধিক রাজ্যে যৌন শিক্ষার বিরুদ্ধে প্রচুর বিরোধিতা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত বিতর্ক অব্যাহত, কতদূর এই পরিকল্পনা সফল হয়, সেটাই বলবে আগামীদিন।
দেখুন অন্য খবর: