ওয়েব ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও তীব্রতর করার পেছনে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সাম্প্রতিক বক্তব্য বিশেষ ভূমিকা রাখছে। খামেনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইজরায়েলকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইরান তাদের যেকোনো আক্রমণের শক্তিশালী জবাব দিতে প্রস্তুত। এই অবস্থান ইরানকে মার্কিন ও ইজরায়েলি কৌশলের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।
সম্প্রতি ইজরায়েল ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে খুজেস্তান, তেহরান এবং ইলমে অবস্থিত ঘাঁটিগুলো উল্লেখযোগ্য। ইজরায়েলের দাবি, এটি ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের প্রতিশোধ। এর জবাবে খামেনি বলেছেন, ইরান যেকোনো পরিস্থিতিতে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে। ইরানের সামরিক এবং কৌশলগত সক্ষমতা এই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: রণংদেহি! হিজবুল্লার ঘাঁটিতে ‘সারপ্রাইজ’ অ্যাটাক ইহুদি সুন্দরীদের
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ইজরায়েলের প্রধান সামরিক সহযোগী। গাজা যুদ্ধ ও লেবাননে ইজরায়েলের সামরিক তৎপরতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে। তবে, খামেনির বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকারও সমালোচনা করা হয়, যা ইরানের ভূকৌশলগত অবস্থানের আরও দৃঢ়তা দেখায়।
ইরান তার মিত্র গোষ্ঠী হামাস ও হিজবুল্লার মাধ্যমে প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে এই গোষ্ঠীগুলোর ক্রমাগত হামলা এবং লেবাননের স্থল অভিযানের প্রেক্ষাপটে ইরান তাদের কৌশলগত সমর্থন আরও জোরদার করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি তৈরি করতে পারে।
ইজরায়েলের গাজায় চালানো আক্রমণে হাজারো মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এই যুদ্ধ ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ সংঘাতকে তীব্রতর করেছে। গাজা, লেবানন, এবং তেহরান হয়ে উঠেছে এই সংঘাতের মূল মঞ্চ।
খামেনির এই কৌশল যুক্তরাষ্ট্র এবং ইজরায়েলকে কূটনৈতিক ও সামরিকভাবে চাপে রেখেছে। ইরানের শক্তি প্রদর্শন এবং মিত্রদের সক্রিয় ভূমিকা ভবিষ্যতে এই সংঘাতকে আরও বিস্তৃত করতে পারে।
দেখুন আরও খবর: