কলকাতা: কলকাতা পুরসভায় (Kolkata Municipality corporation) তুমুল অশান্তি। শনিবার পুরসভার মাসিক অধিবেশনের শুরুতেই তৃণমূল-বিজেপি কাউন্সিলরদের মারামারিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় অধিবেশন কক্ষে। অশান্তি থামাতে আসরে নামলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। তৃণমূলের অসিত বসুর সঙ্গে বিজেপি-র সজল ঘোষ, বিজয় ওঝার হাতাহাতি বাধে। একে অপরের উদ্দেশে কটূ কথা ছুড়ে দেন। মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। কলকাতা পুরসভার ইতিহাসে নজিরবিহীন এই ঘটনা। মারামারি থামাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হল মেয়রকে।পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করেন চেয়ারপার্সন মালা রায়।
তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ কলকাতা পুরসভার অ্যাডেট এলাকার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট এর জন্য প্রতি অর্থ বর্ষে আর্থিক বরাদ্দ সংক্রান্ত বিষয়ে এবং পুরনো কলকাতার কাশিপুর থেকে বউবাজার বা মানিকতলা থেকে তালতলা শহর নানা অঞ্চলের ওয়ার্ড গুলির সোয়ারেজ মাস্টার প্ল্যান তৈরির বিষয়টি উত্থাপন করেন। অধিবেশনে পুর চেয়ারপার্সন মালা বলেন, বিরোধীদের প্রশ্ন কোথায়? মেয়র বলেন, এখন বিরোধীরা প্রশ্নই করেন না। বিজেপি নেতা বলেন, বলেও কোনও লাভ হয় না। মেয়র-ডেপুটি মেয়র কোনও উত্তর দেয় না। সেই সময় সজল ঘোষ এবং বিজয় ওঝার দিকে তৃণমূল কাউন্সিল অসীম বসু তেড়ে যান বলে অভিযোগ। এরপরই শুরু হয় বাকযুদ্ধ, হাতাহাতির পর্যায় পোঁছায়।
অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ পোল্লে, মহেশ শর্মা সহ একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলর বিজেপি কাউন্সিলরদের উপর চড়াও হন। মারধরের অভিযোগ ওঠে। মেয়র-ডেপুটি মেয়র থামাতে গেলে তাদেরও ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে হামলা চালিয়েছে বিজেপি। পাল্টা বিজেপি বলছে, তৃণমূলের কাউন্সিলররাই মারধর করেছেন তাঁদের। অধিবেশন বন্ধ থাকে প্রায় ১৫ মিনিট। মেয়রের হস্তক্ষেপে ফের শুরু হয় অধিবেশন।
এই ঘটনায় সজল এবং অসীম দুজনের কাছেই জবাব তলব করেছেন পুর চেয়ারপার্সন। উপযুক্ত জবাব না পাওয়া গেলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ঘটনার দায় বিরোধীদের ঘাড়ে চাপিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, সব সময় ওরা আমাদের নেত্রী, অভিষেক, আমাকে চোর বলে। বিরোধীরা আমাদের সামাজিক সম্মান নষ্ট করছে। অধিবেশন যা ঘটেছে তা হওয়া উচিত হয়নি। অসভ্যতার একটা সীমা আছে। জনপ্রতিনিধিদের এমন আচরণ শোভা পায় না।