বাঁকুড়া: সরকারি ইন্টিগ্রেটেড স্কুলে (School) এক শিক্ষকের (Teacher) বিরুদ্ধে হেনস্থা, সহ শিক্ষিকাদের প্রতি অভব্য আচরণ সহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুলে ঢুকতে বাধা স্থানীয়দের, বিক্ষোভ (Agitation) । ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কখনও ছাত্র, ছাত্রীদের অযথা হেনস্থার অভিযোগ, আবার কখনও সহ শিক্ষিকাদের প্রতি অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ দায়ের হয়েছিল পুলিশ ও প্রশাসনের কাছেও। এবার সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলাতির অভিযোগ তুলে তাঁকে স্কুলে ঢুকতে বাধা দিলেন এলাকার মানুষ। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার স্কুলের সামনে বিক্ষোভও দেখান অভিভাবকরা। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার জয়পুর থানার মাগুরা গ্রামের নিউ ইন্টিগ্রেটেড গভর্নমেন্ট স্কুলে।
ওই স্কুলে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পঠন পাঠনের ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষক চিরঞ্জিত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বারেবারেই বিভিন্ন ধরনের অভিযোগে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী থেকে শুরু করে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারা। তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষক শিক্ষিকাদের অন্যায় ভাবে ভিডিও করা, পড়ুয়াদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখানো সহ বিভিন্ন অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। এবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্লাস না করার অভিযোগে সরব হলেন এলাকাবাসী। অবিলম্বে ওই শিক্ষককে সরানোর দাবিতে আজ স্কুল শুরুর সময় স্কুলের মূল দরজায় তালা লাগিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন এলাকার পড়ুয়া ও অভিভাবকরা। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকেও। পরে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া হলেও অভিযুক্ত শিক্ষককে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেন এলাকাবাসী। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্কুলের পড়ুয়া থেকে অভিভাবক এমনকি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। স্কুলের সহ শিক্ষিকা থেকে শুরু করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকও ওই শিক্ষকেত বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মেনে নিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ওই শিক্ষক শুধু ক্লাস করেন না তাই নয়, বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করেন সহ শিক্ষক শিক্ষিকা এমনকি পড়ুয়াদেরও। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি অভিযুক্ত শিক্ষক। তাঁর দাবি, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের করা অন্যায়ের প্রতিবাদ করাতেই তাঁর বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। পদাধিকারবলে স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক বলেন, ইতিপূর্বে পাওয়া সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। আপাতত ওই স্কুলের স্বাভাবিক পঠন পাঠন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে এখনও স্বাভাবিক হয়নি আমদানি রফতানি
আরও খবর দেখুন