মহারাষ্ট্র: ‘লাভ জিহাদ’ (Love Jihad) রুখতে উত্তরপ্রদেশ (Uttarpradesh), অসমের (Assam) বিধানসভায় (Assemble) বিল (Bill) পাশ হয়েছে। এবার সেই পথেই এগোচ্ছে মহারাষ্ট্র সরকার (Maharashtra Government)।
আইন করে যাতে লাভ জিহাদ বন্ধ করা যায়, সেই মতো পরিকল্পনা নিয়েছে ফড়নবীশ সরকার (Fadnavis Government) । ইতিমধ্যেই এই বিষয়ক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে আছেন মহারাষ্ট্র পুলিশের ডিজি রশ্মি শুক্লা।
আরও পড়ুন: কে হবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী? মণিপুরে দায়িত্ব পাবেন কে?
বাকিদের মধ্যে রয়েছে রয়েছেন নারী এবং শিশুকল্যাণ দফতর, সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর, আইন এবং বিচার দফতর, স্বরাষ্ট্র দফতর, বিশেষ সহযোগিতা দফতর এবং সামাজিক ন্যায়বিচার দফতরের প্রতিনিধিরা। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে ‘লাভ জিহাদ’ শব্দবন্ধটি ব্যবহার করা হলেও এর ব্যাখ্যার উল্লেখ নেই।
‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বরাবরই সরব উত্তরপ্রদেশ। যোগী আদিত্যনাথের সরকার নয়া বিলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার কথা বলেছে। যোগীর সঙ্গে একই সুরে সুর মিলিয়েছে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনিও গত বছরে লাভ জিহাদ’-এর বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের কথা ঘোষণা করেন। অসম সরকারও দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পথে এগোতে চাইছে। এবার মহারাষ্ট্রের পালা।
মুখমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এর আগে জানিয়েছিলেন, জোর করে ধর্মান্তরিত করা বন্ধ করতে কড়া আইন চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর সরকারের। বিশেষ করে অন্য ধর্মে বিয়ে করে ধর্মান্তরণ বন্ধ করতে তার সরকার চিন্তাভাবনা করছে।
‘লাভ জিহাদ’রোধী আইন চালু করার জন্য মহারাষ্ট্র সরকার কমিটি গঠন করতেই সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলি। এনসিপি (শরদ পওয়ার) নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে এই কমিটি গঠনে আপত্তি জানিয়ে বলেন, “বিবাহের বিষয়টি প্রত্যেকের ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। সরকার এই নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে আসল সমস্যাগুলির দিকে নজর দিক। মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা হুসেন দালওয়াইয়ের মতে, ‘লাভ জিহাদ’ বলে কিছুই হয় না। গণতন্ত্র প্রত্যেককে কোনও না কোনও ধর্মাচরণের সুযোগ দেয়। আমাদের দেশ ধর্মনিরপেক্ষ। কিন্তু কেউ কেউ দেশের সংস্কৃতি নষ্ট করতে চাইছে।‘
দেখুন অন্য খবর: