বারাসত: দত্তপুকুর কাণ্ডে (Duttapukur Murder Case) নয়া মোড়। কাটামুন্ডু কাণ্ডে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিল মূল অভিযুক্ত আসামি জলিলকে গ্রেফতার করল বারাসাত থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ তল্লাশি চালায়। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে উত্তর ভারতের জম্মু থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার তাঁকে সেখানকার আদালতে হাজির করানোর পর হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ট্রানজিট রিমান্ডে জলিলকে জম্বু থেকে বারাসাত নিয়ে আসার প্রস্তুতি শুরু করেছে পুলিশ বলে জানা যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেরার জলিলের খোঁজে বিভিন্ন স্টেশনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। গত ৩ ফেব্রুয়ারি তাঁকে বামনগাছি থেকে শিয়ালদহগামী ট্রেনে উঠতে দেখা গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে শেষ কলকাতা স্টেশনে জলিলের চিত্র পাওয়া গিয়েছিল। সেখান থেকেই জম্বু তাওয়াই ট্রেন ধরে জলিল চলে গিয়েছিল জম্বুতে। সিসিটিভি ফুটেজ ধরেই বারাসত থানার পুলিশ অভিযান চালায় এবং জলিলকে জম্মু থেকে গ্রেফতার করে। গতকাল সেখানে আদালতে তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের জের, সিসিটিভিতে মুড়ল নিউটাউন
এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় মেলে এক যুবকের মুন্ডহীন নগ্ন দেহ। সূত্রের খবর, মৃতের শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। হাত পিছনে বাধা এবং শরীরের নিম্মাজ্ঞ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে নিহতের মাসতুতো ভাই ও তার স্ত্রীকে। মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে হজরতের প্রাক্তন প্রেমিকার বান্ধবীকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মহিলার নাম সোফিয়া খাতুন। বামনগাছি এলাকার বাসিন্দা। ঘটনাস্থল থেকে ওই মহিলার বাড়ি মাত্র ২০০ মিটার দূরে। তবে খুনের ঘটনার সঙ্গে কতটা ভূমিকা ছিল সোফিয়ার, তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। শুক্রবার ধৃত সোফিয়াকে বারাসত আদালতে তোলা হয়। ইতিমধ্যে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪।
অন্য খবর দেখুন