কলকাতা: ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি (Primary Teachers Recruitment Case) বাতিল সংক্রান্ত মামলায় রায় দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত নির্দেশকে খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। ৩২ হাজারে চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। এই রায়ে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। মমতা বলেন, বুধবার মুর্শিদাবাদে পৌঁছে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া দেন তিনি। ‘বিচারব্যবস্থাকে সম্মান করি। আমি খুশি যে আমাদের ভাই-বোনেদের চাকরি বহাল রয়েছে।’ ‘সত্যের জয় হল’ বলে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পরে মন্তব্য রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর।
প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি (Primary Teachers Recruitment Case) বাতিল মামলায় একক বেঞ্চের রায় খারিজ। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিতের রায় খারিজ করে ৩২ হাজারে চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চের। আদালতের পর্যবেক্ষণ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি হয়েছে এটা ঠিক। যে অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছে তা চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু ৯ বছর চাকরি করার পর সেই সকলের পরিবারের কথা ভেবে ৩২ হাজার চাকরি বহাল রাখল বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়কে স্বাগত জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, কোর্টের এই রায়ে তিনি খুশি।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় হাইকোর্টের রায় নিয়ে কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রায় নিয়ে বলেন, ‘কোর্টের রায়কে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আমার ভাই-বোনরা তাঁদের চাকরি ফিরে পেয়েছেন, সেজন্য খুশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানবিক দিক থেকে এই রায় দেওয়া হয়েছে, সেজন্য আমি খুশি। শিক্ষকরা চাকরি ফিরে পেয়েছেন, তাঁদের পরিবারগুলোর মুখে হাসি ফুটেছে, সেজন্য আমি আনন্দিত। কথায় কথায় কোর্টে গিয়ে চাকরি খেয়ে নেওয়া, সেটা তো ঠিক নয়। আমাদের তো কাজ চাকরি দেওয়া।’কথায় কথায় আদালতে যাওয়া আর লোকের চাকরি খেয়ে নেওয়া। আমাদের চাকরি দেওয়া দরকার। খেয়ে নেওয়া আমাদের কাজ নয়।”
দেখুন ভিডিও







