কলকাতা: ফের লোকসভায় তৃণমূলের (TMC) দলনেতা হচ্ছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। এর আগে বিদায়ী লোকসভাতেও (Loksabha) তিনি তৃণমূলের দলনেতা ছিলেন। উপ দলনেতা হচ্ছেন কাকলি ঘোষদস্তিদার। তৃণমূলের মুখ্যসচেতক হচ্ছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা থাকছেন ডেরেক ও ব্রায়ান (Derek O’ Brien)। উপ দলনেতা হচ্ছেন সাগরিকা ঘোষ। ও মুখ্য সচেতক হচ্ছেন নাদিমূল হক। এই মুহূর্তে লোকসভা ও রাজ্যসভা মিলিয়ে তৃণমূলের সাংসদ সংখ্যা ৪২। যা রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম। শনিবার কালীঘাটে দলের জয়ী সাংসদ ও দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের (Meeting) পর এমনই জানান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এদিন বৈঠকে লোকসভায় দলের পরাজিত প্রার্থী, জেলা সভাপতি, শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বরাও উপস্থিত ছিলেন। মমতা জানিয়েছেন, সংসদে বসে থাকলে হবে না। কাজ করতে হবে। এই সরকার বেশি দিন চলবে না। নরেন্দ্র মোদির উচিত ছিল হারের দায়িত্ব নিয়ে অন্য কাউকে ছেড়ে দেওয়া। তাদের যে ইচ্ছা ছিল তা পূরণ হয়নি। তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। আমরা অপেক্ষা করছি ও লক্ষ্য করছি। আগে যেমন কোনও আলোচনা ছাড়া, চর্চা ছাড়া বিল পাশ করিয়ে নিত। তা আর হবে না। একনায়কতন্ত্রেরও একটা লক্ষ্মণরেখা থাকা দরকার। ভোটের ফলের আগের দিন শেয়ার নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। কী করে এত বড় ঘটনা ঘটল? ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের কলকাতায় আসার জন্য স্বাগত জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: রাজ্য থেকে লোকসভায় জয়ী সাংসদদের মধ্যে কোটিপতির ছড়াছড়ি
সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, দলে থেকে দলের ক্ষতি করা যাবে না। তিনি এদিন বহরমপুরের জয়ী সাংসদ ইউসুফ পাঠানকে জায়ান্ট কিলার বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে সমস্ত জয়ী সাংসদদের অভিনন্দন জানান তিনি।
আরও খবর দেখুন