ওয়েব ডেস্ক: প্রথমার্ধে সুযোগ নষ্টের প্রদর্শনীর পর আশঙ্কা হচ্ছিল, এই ম্যাচ জিততে পারবে না মোহনবাগান (Mohun Bagan)। হল ঠিক তাই। দ্বিতীয়ার্ধে দেখা গেল অন্য জামশেদপুরকে (Jamshedpur)। খালিদ জামিলের দলের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল সবুজ-মেরুনকে।
প্রথমার্ধে আক্রমণের ঝড় তুলেছিল মোহনবাগান। কিন্তু লিস্টন কোলাসো, জেমি ম্যাকলারেনরা একের পর এক সুযোগ হেলায় নষ্ট করলেন। তবু এক গোলে এগিয়ে কলকাতায়। কর্নার থেকে জটলার মধ্যে দারুণ ফ্লিকে বল জালে জড়িয়ে দেন অধিনায়ক শুভাশিস বসু। প্রথমার্ধে হোসে মোলিনার (Jose Molina) দলের আক্রমণে থই খুঁজে পাচ্ছিল না জামশেদপুর। দ্বিতীয়ার্ধে সম্পূর্ণ বদলে গেল দলটা।
আরও পড়ুন: কড়া হল BCCI, রোহিতদের জন্য জারি ১০ নিয়ম
একক প্রচেষ্টায় প্রায় ৫০ গজ দৌড়ে গোল করলেন জামশেদপুরের ডিফেন্ডার স্টেফান এজে। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হলেন তিনিই। তবে ওই গোলের জন্য বাগান রক্ষণের দুর্বলতাও অনেকটা দায়ী। অতটা দৌড়লেন এজে, কেউ তাঁকে বাধা দিল না। ম্যাচের শেষদিকে আবার গা-ঝাড়া দিয়ে ওঠেন মনবীররা। কিন্তু গোল আসেনি।
অতীতে বহুবার দেখা গিয়েছে, ডার্বি জেতার পরের ম্যাচে জিততে পারে না মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। আত্মতুষ্টি গ্রাস করে। এদিন আত্মতুষ্টি কতটা প্রভাব ফেলেছে তা সবুজ-মেরুন কোচই বলতে পারবেন, তবে আসল কারণ যে ফরোয়ার্ডদের গোলের সামনে ব্যর্থতা, তাতে সন্দেহ নেই। প্রথমার্ধেই চার-পাঁচ গোল দিতে পারত মেরিনাররা।
দেখুন আরও খবর: