কলকাতা: হারের হ্যাটট্রিকের হতাশার দিন আর নেই, এখন জয়ের হ্যাটট্রিকের আনন্দ। মোহনবাগানে (Mohun Bagan) ফের সুসময় এনে দিচ্ছেন আন্তনিও লোপেজ হাবাস (Antonio Lopez Habas)। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডকে ৪-২ গোলে হারাল তাঁর দল। এই জয়ে এফসি গোয়াকে টপকে আইএসএল (ISL 2023-24) লিগ টেবিলে দুই নম্বরে উঠে এল সবুজ মেরুন ব্রিগেড। ১৪ ম্যাচে মোহনবাগানের ২৯ পয়েন্ট। ১৫ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ওড়িশা এফসি।
আরও পড়ুন: কারার ওই লৌহকপাট, ভেঙে ফেল কর রে লোপাট (পর্ব-৪)
হাবাস আগেই বলেছিলেন, শনিবারের ম্যাচে প্রথম এগারোয় পরিবর্তন করবেন। ঠাসা সূচিতে ছেলেদের বিশ্রাম দিতেই এই সিদ্ধান্ত। সেই অনুযায়ী আর্মান্দো সাদিকুর জায়গায় জেসন কামিংসকে (Jason Cummings) খেলালেন। মাঝমাঠে দীপক টাংরির জায়গায় অভিষেক সূর্যবংশী এবং অনিরুদ্ধ থাপাকে সরিয়ে শুরু থেকেই জনি কাউকো (Joni Kauko)। কামাল করলেন কাউকোই। গোল একটাও করেননি, কিন্তু তিনটে গোলের পাস তাঁরই বাড়ানো। তার মধ্যে সাহালকে যে পাসটি তিনি বাড়ান সেটি বিশ্বমানের।
দিনের শুরুটা কিন্তু ভালো হয়নি। পাঁচ মিনিটের মধ্যে পেনাল্টি পায় পাহাড়ি ক্লাব। বক্সের মধ্যে দীপ্পেন্দু বিশ্বাসের কনুইয়ে বল লাগে। পেনাল্টি থেকে গোল করেন নর্থ-ইস্টের টমি জুরিখ। গোল শোধ করতে চাপ বাড়ালেও গোল আসছিল না। গোটা তিনেক ভালো সুযোগ তৈরি হলেও কাজে দেয়নি। মনে হচ্ছিল প্রথমার্ধ ১-০ পিছিয়ে থেকেই শেষ করবে বাগান। কিন্তু না, গোল এল এবং একটি নয়, জোড়া গোল।
আরও পড়ুন: জয়োধ্বনি নাকি চিত্রনাট্যে টুইস্ট- রাজকোট যেন ফেলুদার ডেস্টিনেশন!
৪৫+১ মিনিটে কাউকোর পাস বক্সের মাথায় ধরেন লিস্টন কোলাসো (Liston Colaco)। ডান পায়ের জোরালো শটে ফার্স্ট বার দিয়ে গোল ঢুকিয়ে দেন। এর তিন মিনিট পর কাউকোর ছোট্ট ক্রসে স্রেফ টোকা দিয়ে ২-১ করেন কামিংস। যুবভারতীতে বাগান সমর্থকরা তখন উৎসবের মেজাজে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফের গোল খেয়ে যায় মোহনবাগান। এবারও গোলদাতা জুরিখ। এবার উৎসব করার পালা মাঠে আসা অল্প কিছু নর্থ-ইস্ট সমর্থকের। যদিও তাঁদের আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি।
৫৩ মিনিটে কামিংসের পাস থেকে ৩-২ করেন বাগান সমর্থকদের নয়নের মণি দিমিত্রি পেত্রাতস (Dimitri Petratos)। রোজই গোল করছেন অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকার। ৫৭ মিনিটে কাউকোর বিশ্বমানের থ্রু পাসে ৪-২ করেন সাহাল আবদুল সামাদ। এরপরে আর ম্যাচে কিছু পড়ে ছিল না। হাবাস বেশ কিছু পরিবর্তন করেন। ৬০ মিনিটে দীপ্পেন্দুর জায়গায় মাঠে নামেন ডার্বিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়া আনোয়ার আলি (Anwar Ali)। তাঁর আগমনে মাঠে প্রচুর হাততালি পড়ল।
অন্য খবর দেখুন
