কলকাতা: আরজি করের প্রতিবাদে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’ আজ নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhiyaan) ডাক গিয়ে পথে নামছে। নবান্ন অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছে বিজেপি। সোমবার এই কর্মসূচীকে বেআইনি ঘোষণা করেছে রাজ্য পুলিশ। নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhiyaan) ঘিরে অশান্তির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই অশান্তি এড়াতে বাড়তি সতর্ক পুলিশ। নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। ছাত্রদের অভিযান রুখতে অ্যালুমেনিয়াম ব্যারিকেড, জলকামান-কাঁদানে গ্যাসে প্রস্তুত কলকাতা পুলিশও। হাওড়া, কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল আসার কথা রয়েছে। তাই কলকাতা ও হাওড়ার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আর তার জেরে হাওড়া, কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় প্রবল যানজট তৈরির আশঙ্কা আছে।
অশান্তি এড়াতে রাস্তায় থাকছে অতিরিক্ত ৪ হাজার পুলিশ (Police Deployed Nabanna Abhiyaan)।নবান্নের সামনে লাঠিধারী পুলিশের সঙ্গে মোতায়েন রয়েছে র্যাফ, কমব্যাট ফোর্স। প্রস্তুত রাখা হয়েছে কাঁদানে গ্যাসের শেল। দুর্গের মতো ঘিরে ফেলা হয়েছে নবান্নের চারপাশ। হেস্টিংস এর বিন্নিও র্যাম্প, হাওড়া ময়দান, শিবপুর রোড, হাওড়া ব্রিজ, নবান্নে যাওয়ার এই সব মূল রাস্তা গুলিতে বসানো হবে অ্যালুমিনিয়াম ব্যারিকেড। যার সঙ্গে থাকবে কাঠের সিজার ব্যারিকেড। হাওড়ার দিকে নবান্নে যাওয়ার পথে চার জায়গায় লোহার ব্যারিকেড তৈরি করা হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের ধাক্কায় যাতে সেগুলি উপড়ে না আসে, তাই রাস্তায় গর্ত খুঁড়ে বড় লোহার পাইপের সঙ্গে ব্যারিকেডগুলি ঝালাই করে দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি ব্যারিকেডে গড়ে থাকছে ৫০০ থেকে ৬০০ পুলিশ। গার্ডরেল ভাঙার চেষ্টা হলে জলকামান বা রবার বুলেট ব্যবহার করা হতে পারে। নবান্ন অভিযান ঘিরে অশান্তি রুখতে হাওড়া ব্রিজে নামানো হয়েছে RAF।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানের আগে নাকা চেকিংয়ে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গাড়ি আটক
আজকের অভিযান ঘিরে হাওড়া থেকে কলকাতায় আসার পথে যাত্রীদের সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আজ ইউজিসি-র নেট পরীক্ষা আছে। পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্য প্রশাসন কিছু পদক্ষেপ করেছে। জানা গিয়েছে, হাওড়ার দিক থেকে কলকাতায় আসার জন্য যাত্রীদের মূলত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো এবং গঙ্গায় ফেরি পরিষেবার উপরে নির্ভর করতে হবে। বিদ্যাসাগর সেতু এবং র্যাম্প, খিদিরপুর রোড, তারাতলা রোড, ডায়মন্ড হারবার রোড, সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড, রিমাউন্ট রোড, কোল বার্থ রোড, কলকাতা বন্দরের সংযোগকারী ফিডার রোড-সহ একাধিক রাস্তায় রাত ১০টা পর্যন্ত পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে জওহরলাল নেহরু রোড, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড, আউট্রাম রোড, খিদিরপুর রোড, লাভার্স লেন, ক্যাসুরিনা অ্যাভিনিউয়ের মতো রাস্তায়।
কোনা এক্সপ্রেসওয়ের সাঁতরাগাছি সেতুর গ্যারাজ মোড়, আন্দুল রোডের লক্ষ্মীনারায়ণতলা, ফোরশোর রোড ও রামকৃষ্ণপুর লঞ্চঘাটমুখী রাস্তার সংযোগস্থল এবং জিটি রোডের বঙ্গবাসী মোড় ও মল্লিকফটকের সংযোগস্থল— এই চার জায়গায় থাকছে লোহার ত্রিস্তরীয় ব্যারিকেড। বাগনান, উলুবেড়িয়া, পাঁচলা, রানিহাটি-সহ গ্রামীণ হাওড়ায় মুম্বই রোডের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে পুলিশ প্রহরা থাকছে।
অন্য খবর দেখুন