কলকাতা: পার্কস্ট্রিট হোটেলে রাহুল লাল হত্যা মামলায় ওড়িশা থেকে লালবাজারের কর্মকর্তারা আটক করেন শক্তিকান্ত বেরা এবং সন্তোষ বেরাকে। ওড়িশা থেকে আটক করা হয় তাদের। গ্রেফতারির আগে শক্তিকান্ত ও সন্তোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাতেই উঠে আসে নয়া তথ্য।
জানা গিয়েছে, গত ২২ তারিখ হোটেলে তিনজন আসেন। সেইসময়ই রাহুল বেরা ছুরি বের করে খুনের হুমকি দেয়। পাশাপাশি লুটপাটেরও চেষ্ঠা করে বলে অভিযেগ। এই খুন ও লুটপাট রুখতেই সন্তোষ ও শক্তিকান্ত হত্য়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাহুলকে। গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, কলকাতা ভ্রমনের জন্য রাহুল লালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তারা। ভাইয়ের আধার কার্ড দেখিয়ে হোটেল বুক করেছিলেন রাহুল। গত ২৪ অক্টোবর বক্স খাটের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল রাহুলের দেহ। এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে একের পর এক তথ্য।
আরও পড়ুন: পার্ক সার্কাস ৪ নম্বর ব্রিজের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, উল্টে গেল ডাম্পার
পুলিশ সূত্রে খবর, রাহুলের নামে আগে থেকেই একাধিক অভিযোগ রয়েছে। দামী জিনিস চুরি করে ভিন রাজ্যে পাচার করত সে। পুলিশের অনুমান, এবারও চুরির জিনিস হাত বদল করার সময় খুনের ঘটনা ঘটে। পুলিশের প্রথম থেকেই অনুমান ছিল, রাহুলকে খুন করে ওড়িশায় পালিয়েছে দুস্কৃতিরা। হোটেলে খুন করে হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে ওড়িশায় গা ঢাকা দিয়েছিল ধৃত দুজন। বৃহস্পতিবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় দুজনকে।
দেখুন খবর:







