ঝালদা: টুসু, ভাদু, ঝুমুর উৎসবের প্রস্তুতি ঘিরে জমজমাট পুরুলিয়া (Purulia)। টুসু (Tusu Festival) নিয়ে আগের মতো উন্মাদনা না থাকলেও এখনও জেলার অন্যতম সেরা লোক-উৎসব এটাই। টুসু গানও এই পরবের অন্যতম অঙ্গ। আগে গোটা অগ্রহায়ণ জুড়ে সন্ধ্যার পরে বাড়ির মহিলারা টুসু গানের আসর বসাতেন। আধুনিকতার ছোঁয়ায় ঐতিহ্য হারাছে পুরুলিয়া। টুসু পরব দোরগোড়ায় পৌঁছলেও চৌডল কেনার ভিড় নেই ঝালদার সাপ্তাহিক হাটে। আগে এই হাটে এক মাস ধরে জমে উঠত মহিলাদের ভিড়। তাই সমস্যায় পড়েছে ঝালদার টুসু কমিটিগুলি।
মকর সংক্রান্তিতে হয় প্রধান পুজো ৷ যাকে টুসু পরব (Tusu Festival) বলে ৷ কুমারীরাই এই টুসু পুজো করেন। গান গেয়ে টুসুর জাগরণ করেন এবং প্রাণের টুসুকে বিদায়ও জানিয়ে থাকেন। জেলার নানান জায়গায় টুসু প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর টুসু বিক্রি কম হচ্ছে বলে দাবি বিক্রেতাদের। তাই স্বাভাবিকভাবেই মন ভালো নেই তাঁদের। বিক্রেতাদের আক্ষেপ টুসু তৈরি করার সরঞ্জামের দাম বাড়ছে, অথচ বেশি দামে টুসু বিক্রি হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: চুরি হয়ে যাচ্ছে কোপাই নদী, গড়ে উঠছে বহুতল
এবিষয়ে ঝালদা হাটে চৌডল কিনতে আসা টুসু কমিটি গুলো জানান এক সময় ঝালদা হাটে প্রচুর পরিমাণ চৌডল বিক্রি হত। কিন্তূ এখন আর সেরকম বিক্রি হচ্ছে না। নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা স্থানীয় সংস্কৃতি ভুলতে বসেছে। আমরা সংস্কৃতি রক্ষায় টুসু নিতে এসেও হতাশ। আমরা ধুমধাম সহকার টুসু পরব করে আসছি পূর্বপুরুষ ধরে । মানভূমের সব থেকে বড়ো পরব এই টুসু পরব। এক মাস ধরে চলে গ্রামে গ্রামে টুসুর আরাধনা ও এক মাস পর ধুমধামে মকর সংক্রান্তির দিন টুসু বিসর্জন করা হয়।
আরও অন্য খবর দেখুন