কলকাতা: বাঘের হানায় মৃতের দুই পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ (Compensation) দেওয়ার নির্দেশ।
মামলাকারী সরস্বতী আউলিয়া এবং সরোজিনি মন্ডল। উত্তর ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমার গোসাবা (Gosaba) ব্লকের বাসিন্দা। তাঁদের স্বামী যথাক্রমে রাধাকান্ত ও শম্ভু বাঘের আক্রমণে নিহত হন। ঘটনা ১০ অক্টোবর ২০১৯। সুন্দরবন কালিচর এলাকার পঞ্চমুখানি -২ ফরেস্ট কম্পার্টমেন্ট এলাকায় জীবিকার প্রয়োজনে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের হানায় মৃত্যু।
আরও পড়ুন: অনুপ্রবেশ রুখতে মায়ানমার সীমান্ত সিল করছে কেন্দ্র, ঘোষণা শাহের
বাঘের প্রথম শিকার শম্ভু। বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে রাধাকান্তও প্রাণ হারান। শম্ভুর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত হয়। কিন্তু রাধাকান্তর মৃতদেহ উদ্ধার হয়নি। বিষয়টি বনদফতর, পুলিশ এবং পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়। দু’জনের ডেথ সার্টিফিকেট ও পুলিশি তদন্ত রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘বাঘের আক্রমণ’ উল্লেখ করা ছিল।
২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২ হতভাগ্য মহিলা বনদফতরের আধিকারিকদের কাছে একাধিকবার ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু ক্ষতিপূরণ মেলেনি।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী বন্যপ্রাণীর আক্রমণে নিহতদের আইনি উত্তরাধিকারীরা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কিত প্রমাণ সাপেক্ষে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকা পাবেন। সওয়াল মামলাকারীদের।
এই প্রেক্ষাপটে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ। কিন্তু, বনদফতর লিখিতভাবে তাঁদের ক্ষতিপূরণের দাবি প্রত্যাখ্যান করে । দফতরের অভিযোগ, মৃত ব্যক্তিরা সুন্দরবন বনাঞ্চলের নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকেছিল।
সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের অন্তর্গত ফিল্ড ডিরেক্টরকে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের নির্দেশ, আগামী ১৪ দিনের মধ্যে মামলাকারীদের ক্ষতিপূরণের ৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে।
আরও খবর দেখুন: