নয়াদিল্লি: ভয়ঙ্কর দূষণে (Pollution) নাজেহাল দিল্লি (Delhi)। আকাশ মুখ ঢেকেছে কালো ধোঁয়াশায়। রাস্তায় বের হলে কাশি রাজধানীবাসীর নিত্যসঙ্গী। এমতবস্থায় দিল্লির মানুষকে মুখে এন-৯৫ মাস্ক পরে বাড়ির বাইরে বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। দৃশ্যমানতা কমেছে,বিমান, রেল ও সড়ক পরিষেবা ব্যাহত। ধীরগতিতে চলছে ট্রেন।
টানা আট দিন ধরে দিল্লির বাতাসের গুণগত মানের সূচক (একিউআই) ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে থাকার পর গত দু’দিন ধরে পরিস্থিতির কিছুটা বদল এসেছিল। কিন্তু শনিবার সেই পুরনো অবস্থাতেই ফিরে গেছে রাজধানী। বাতাসের গুণমান সূচক ভয়ঙ্কর অবস্থায় পৌঁছেছে। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে সেখান থেকে এখনই রেহাই মিলবে না দিল্লিবাসীর এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।
আরও পড়ুন:শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহিলাদের সুরক্ষা বৃদ্ধিতে UGC-র বড় পদক্ষেপ
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড সিপিসিবি-র তথ্য অনুযায়ী, শনিবার রাজধানীর ৩৯টি দূষণ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে ২৮টির রিপোর্ট বলছে, ওই কেন্দ্রগুলির আশপাশের এলাকায় বাতাসের গুণগত মানের সূচক ৪০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, ‘ভয়ানক’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাকি ১১টি কেন্দ্রে বাতাসের গুণগত মানের সূচক ৪০০-র নীচে। অর্থাৎ ‘খুব খারাপ’।
দিল্লির আনন্দ বিহারে এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স ছিল ৪৫৭, অশোক বিহারে ৪৫৫, চাঁদনি চকে ৪৩৯ এবং আর কে পুরমে ৪২১। দূষণ তো রয়েছেই, এরইমধ্যে দিল্লিতে যমুনা নদীর জল এখনও বিষাক্ত অবস্থায় রয়েছে। এদিন সকালে দিল্লির কালিন্দী কুঞ্জে যমুনা নদীতে বিষাক্ত ফেনা ভাসতে দেখা যায়।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ওয়াজিরপুর। তার পর রয়েছে, জাহাঙ্গিরপুরী, আলিপুর, আনন্দ বিহার, চাঁদনি চক। কিছুটা ভালোর জায়গায় আছে বিমানবন্দর, আইটিও, লোঢী রোডের মতো কয়েকটি জায়গার বাতাস।
শুক্রবার দিল্লি সরকারকে দূষণ নিয়ে আবার সতর্ক করেছে সুপ্রিম কোর্ট। গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৪ (গ্র্যাপ) চালু করার পরেও রাজধানীতে ভিন্রাজ্য থেকে কী ভাবে ট্রাক ঢুকছে, তা বন্ধ করতে কেন ব্যবস্থা বা নজরদারি চালানো হচ্ছে না, তা নিয়ে দিল্লির সরকারের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত।
দেখুন অন্য খবর: