ওয়েব ডেস্ক: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ থামার নাম নেই। ২০২২ সালে প্রথম ইউক্রেনে বিশেষ ফৌজি অভিযান শুরু করেছিল রুশ সেনা। তারপর থেকে প্রায় ১০০০ দিন কেটে গেলেও থামছে না যুদ্ধ। বরং দিন দিন বেড়ে চলেছে সংঘাত। এরমধ্যেই জল্পনা এবার আরও একটি দেশ হামলা করতে পারে ভ্লাদামির পুতিন।
এবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের ভ্রুকুটির শিকার জর্জিয়া। জল্পনার সূত্রপাত রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের একটি বার্তায়। তিনি বলেছেন, ‘জর্জিয়া এখন ইউক্রেনের পথে হাঁটছে। যদি জর্জিয়া কোনও পদেক্ষেপ না করে তবে রাশিয়ার উপর ভুরাজনৈতিক প্রভাব ফেলবে। ফলত, পদেক্ষেপ নিতে হবে রাশিয়াকে।’ মেদভেদেভের এই বার্তাতেই হইচই পড়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন বার্তা দিলেন তিনি?
আরও পড়ুন: নামেই যুদ্ধবিরতি! ইজরায়েলের উপর গুলিবর্ষণ হিজবুল্লার, পালটা মার নেতানিয়াহুর
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার আগে রাশিয়ার সঙ্গেই ছিল জর্জিয়া। সেই জর্জিয়াতেই শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক আন্দোলন। যা দেশব্যাপী বিক্ষোভের সূত্রপাত করেছে। জর্জিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ হওয়া উচিত কি না তা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। পথে নেমেছেন কাতারে কাতারে আমজনতা। দীর্ঘ পাঁচদিন ধরে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে চলেছে বিক্ষোভ। জর্জিয়ার রাজধানীতে পাঁচ দিনের বিক্ষোভের পরে ২০০ জনেরও বেশি লোককে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর জর্জিয়ার সংসদীয় নির্বাচনে জয় পেয়েছে ‘ড্রিম পার্টি’। যদিও জয় নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সালোমে জোরাবিচভিলি দেশটির নতুন সরকারকে ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করেন। অপরদিকে, জোরাবিচভিলির পদত্যাগের দাবি তুলেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি কোবাখিদজে। পাল্টা জোরাবিচভিলি বলেছেণ দেশে ‘বৈধ’ সরকার গঠনের আগে তিনি পদত্যাগ করবেন না। জর্জিয়ার সাধারণ নাগরিকদের একাংশও প্রেসিডেন্টের সুরে কথা বলছেন। দেশের পার্লামেন্ট বয়কটের ডাক দিয়েছেন আমজনতা। তাঁদের দাবি, পশ্চিমি দেশগুলির পথ অনুসরণ করুক জর্জিয়া। কারণ, রাশিয়ার তিক্ত অতীত এখনও তাঁরা ভোলেননি। জর্জিয়ার গতি প্রকৃতি দেখে ক্ষিপ্ত পুতিনও। শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনের মতো পরিস্থিতির শিকার যাতে না হতে হয় সেদিকে নজর আন্তর্জাতিক মহলের।
দেখুন আরও খবর: