দিল্লি: সোমবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (NHRC) নবম চেয়ারপার্সন হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ভি রামসুব্রহ্মণ্যন (Justice V Ramasubramanian)। তাঁকে এই পদে নিয়োগ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্ম্মু। একইসঙ্গে এদিন প্রিয়ঙ্ক কানুনগো (Priyank Kanoongo) এবং বিদ্যুৎরঞ্জন সারঙ্গীকে (Bidyut Ranjan Sarangi) সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। তবে এই নিয়োগ নিয়ে খুশি নয় কংগ্রেস। সংসদের বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge) এর বিরোধিতা করেছেন। বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন দুই কংগ্রেস নেতা। তাঁদের দাবি, কোনওরকম আলোচনা ছাড়াই আগাম গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এই নিয়োগ করা হয়েছে।
কিন্তু কেন এই নিয়োগের বিরোধীতা করেছেন রাহুল গান্ধীরা? বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কংগ্রেসের পছন্দসই প্রার্থীকে নিযুক্ত না করায় এই নিয়োগকে মেনে নিতে পারছে না কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারপার্সন হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত দুই বিচারপতি রোহিন্টন ফলি নরিম্যান এবং কেএম জোসেফের নাম প্রস্তাব করেছিলেন গান্ধী ও খাড়্গে। এদিকে কমিশনের সদস্য হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এস মুরলীধর এবং আকিল আব্দুলহামিদ কুরেশির নাম প্রস্তাব করা হয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কাউকেই নিয়োগ করেনি কেন্দ্রীয় কমিটি।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ, অ্যাসিড হামলা, পকসো মামলায় যুগান্তকারী নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধানকে নিয়োগের জন্য গত ১৮ই ডিসেম্বর একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসে কমিটি। এই কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ লোকসভার স্পিকার, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা এবং রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানও ছিলেন।
দেখুন আরও খবর: